বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরের জামাল খানের চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউ) অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন সুপ্রীম কোর্ট ও আলোচিত ফেলানী হত্যাকান্ডের বাংলাদেশের আইনজীবী আব্রাহাম লিংকন।
সিআইইউর স্কুল অব ল আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য এই সেমিনারের আয়োজন করে।
আব্রাহাম লিংকন সীমান্ত এলাকায় আমাদের রক্ষাকারী বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার এলাকা সীমান্ত বেষ্টিত। যার মধ্যে ভারতের সঙ্গে আছে ৪ হাজার ১৫৬।
তিনি আরও বলেন, এই বিশাল সীমান্ত রক্ষায় বিজিবি যথেষ্ট নয়। দুর্বলতা থাকায় অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছি আমরা। আমাদের জোয়ানরা এখনও পায়ে হেঁটে আদিম পদ্ধতি মেনে দায়িত্ব পালন করছে। অথচ অপরাধীদের রয়েছে মটর সাইকেল ও জিপ গাড়ি।
চোরাকারবারীদের প্রতিহত করা না গেলে অবৈধ কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে উল্লেখ করে প্রখ্যাত আইনজীবী আব্রাহাম লিংকন বলেন, এই সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি করতে হবে। তবে মামলা প্রমাণের ভার আসামির উপর অর্পণ করা যেতে পারে। এই কাজে বিজিবি সদস্যদের আইনগত বিষয়ে ধারণা দিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি।
তিনি আরও বলেন, ওয়ার্ক পারমিট উভয় দেশের সীমান্তে অপরাধ কমাতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। এই পারমিট হবে তাদের বৈধ ভিসা।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বিএসএফ ঠান্ডা মাথায় কিশোরী ফেলানীকে হত্যা করে। এই ঘটনা আমাদের বিবেক নাড়িয়ে দিয়েছে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন ছিটমহল বিনিময়ের অন্যতম সংগঠক ও আইনজীবী আব্রাহাম লিংকন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, সীমান্ত এলাকায় যে ধরনের উপদ্রুব রয়েছে তা উভয় দেশের আইনের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব।
সভাপতির বক্তব্যে স্কুল অব ল’র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, সীমান্ত সমস্যার নানা দিক ও নিরসনে আমাদের করণীয় কী তা জানতে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান বক্তা আইনজীবী আব্রাহাম লিংকনের হাতে উপাচার্যের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট তুলে দেন অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
জেইউ/টিসি