মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে ‘জলবায়ু পরিবর্তনে দুস্থতা সমীক্ষা বিষয়ক কর্মশালায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির কারণে নগরে জনসংখ্যার চাপ বেড়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে ও এলআইইউপিসি’র সিটি ম্যানেজার ড. সোহেল ইকবালের সঞ্চালনায় কর্মশালায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, মো. মোবারক আলী, ছালেহ আহমদ চৌধুরী, মো. শফিউল আলম, মনোয়ারা বেগম মনি, কোডেকের প্রধান নির্বাহী কমল সেনগুপ্ত।
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এশিয়ান ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টারের (এডিপিসি) ফিজিক্যাল ভালনারেবল কো-অর্ডিনেটর মো. সাখাওয়াত হোসেন।
কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তনের (ভৌত ও আর্থসামাজিক) বিপদাপন্নতা মূল্যায়ন, চসিক এলাকায় আপদ, বিপদাপন্নতা মূল্যায়নে এক্সপোজার, সেন্সিটিভিটি এডাপ্টিভ ক্যাপাসিটি নিয়ে আলোচনা হয়।
এতে আপদকালীন আক্রান্ত স্থানকে এক্সপোজ করা, মানবসৃষ্ট কারণে কোনো স্থান বা সম্প্রদায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে বেশি বিপদাপন্ন করলে কীভাবে তা মোকাবেলা করা যায় এ বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসে।
অনুষ্ঠানে মানুষ, সম্পদ ও পরিবেশের ক্ষতি সাধন করতে পারে এরূপ সম্ভাব্য ঘটনাকে আপদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আপদগুলো হলো- বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙন, লবণাক্ততা, খাবার পানির সংকট ও ভূমিধস। এ গুলোর মধ্যে সব ধরনের আবাসিক ভবন, রাস্তাঘাট, সেতু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন, হাসপাতাল, সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে।
মেয়র জলবায়ু পরিবর্তনে দুস্থতা সমীক্ষা বিষয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক নিখুঁত প্রতিবেদন তৈরির জন্য সব কাউন্সিলরের কাছে চিঠি দিয়ে মতামত নেওয়া হবে বলে জানান।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবেশের সম্ভাব্য ভারসাম্যহীনতার বিষয় ও আপদ সম্পর্কে ইউএনডিপির দু’জন প্রতিনিধি বুধবার চসিকের সাধারণ সভায় কাউন্সিলদের অবহিত করবেন। পরবর্তীতে তারা ওয়ার্ড পর্যায়েও কাজ করবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ ওয়ার্ডে তাদের সমীক্ষার কার্যক্রম চলাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
এআর/টিসি