ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বাবার মতো আমাকেও যেন মানুষ মনে রাখেন’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
‘বাবার মতো আমাকেও যেন মানুষ মনে রাখেন’ খাদিজাতুল আনোয়ার সনি

চট্টগ্রাম: সংরক্ষিত নারী আসনে চট্টগ্রাম থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। তিনি ফটিকছড়ি আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে।

দশম সংসদ নির্বাচনে ফটিকছড়ি থেকে দলীয় মনোনয়ন পান সনি। পরে আসনটি মহাজোটের শরিক তরিকত্ব ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ।

এরপর ওই সময় সংরক্ষিত নারী আসনেও ঠাঁই হয়নি তার।

কিন্তু এতে হাল ছাড়েননি উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের এ সদস্য।

বাবার স্বপ্ন পূরণে ব্রত হয়ে নীরবে কাজ করে গেছেন। সুখে-দুখে ছিলেন এলাকার মানুষের পাশে।

সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর রোববার (১৭ ফেব্রয়ারি) বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপের শুরুতে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

খাদিজাতুল আনোয়ার সনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়ে যে আস্থা রেখেছেন, তার মর্যাদা আমি রাখবো। ’

‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে এত বড় একটা জায়গায় যাওয়ার সুযোগ দিয়েছেন, যেখানে গিয়ে আমি বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। ’যোগ করেন তিনি।

খাদিজাতুল আনোয়ার সনি বলেন, ‘আমার বাবা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে ফটিকছড়ি থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করে ফটিকছড়িবাসীর মন জয় করেছেন বাবা, গড়ে তুলেছেন একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তিনি মারা যাওয়ার পর আমি সেগুলোর হাল ধরেছি। ’

‘আমার বাবার স্বপ্ন ছিল আধুনিক ফটিকছড়ির গড়ার। সেই স্বপ্ন তিনি পুরোপুরি পূরণ করতে পারেননি। বাবা যখন বেঁচে ছিলেন, তখন থেকে রাজনীতি করছি। আমিও তার পথ অনুসরণ করতে চাই। ’

ফটিকছড়িবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সনি বলেন, ‘এলাকায় কাজ করতে গিয়ে বুঝতে পেরেছি, আমার বাবা মানুষের কত আপন ছিলেন। আমাকে আগলে রেখে সেটির প্রমাণ দিয়েছেন এলাকাবাসী। ’

‘বাবার অনুপস্থিতিতে সবসময় কন্যার স্নেহে আগলে রেখেছেন সাবেক মন্ত্রী ও মিরসরাই আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এ ছাড়া উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীও সবসময় সহযোগিতা করেছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। ’

খাদিজাতুল আনোয়ার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রযাত্রায় সারথি হয়ে আমিও নারী এবং তরুণদের নিয়ে কাজ করতে চাই। ’

‘ডিজিটাল বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্ম খুব সক্রিয়। তারা সবকিছু জানে-বুঝে। এখন তাদের সঠিক পরিচর্যা দরকার। আমরা যদি সেটি করতে পারি, তাহলে তরুণরা আগামীর বাংলাদেশ গড়বে। ’

পিছিয়ে পড়া নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার বলেন, গ্রামে এখনো মেয়েদের শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হয় না। আরও অনেক প্রতিবন্ধকতা তাদের।

‘আমি চাই, প্রত্যেক নারী শিক্ষিত হবে। সবার চাকরি থাকবে। নিজেই স্বাবলম্বী হবে, পরিবারকেও সহযোগিতার পাশাপাশি নিজের একটি অবস্থান তৈরি করবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
এসইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।