ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জসীম উদ্দীনের বক্তব্যে বিষয়টি উঠে আসে।
>> চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে ৯ জনের মৃত্যু
>> ‘যে রহিমা আমাদের বাঁচালো সেই পুড়ে মরলো’
খুরশিদা বেগম এ বস্তিতে থাকেন ২ বছর ধরে।
পারভিন আকতার (৩৫) ছেলেকে কোলে নিয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়কের দোকানের সামনে বসে কাঁদছিলেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সারাদিন পরিশ্রম করে রাত ১২টার দিকে ঘুমিয়েছি। আড়াইটায় শোরগোল। ‘আগুন! আগুন’ চিৎকার। জমানো টাকা, হাতের-গলার স্বর্ণালংকার নিতে গেলে দেখছি পুড়ে মরবো। উপায় না দেখে ছেলেকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি ঘর ছেড়ে। ভাগ্যিস মোবাইল ফোনটা ছেলের পকেটে ছিল।
তিনিও বলেন, ‘সবার মতো আমিও ভেতর থেকে তালা মেরে ঘুমিয়েছিলাম। চোরের উৎপাত, হেরোইন্সির উৎপাতে তালা না মেরে উপায় থাকে না। ’
আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়া প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের মো. জসীম উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি খাস জমিতে গড়ে তোলা এ বস্তির কাঁচা ঘরগুলো খুবই কাছাকাছি। এখানে প্রচুর দাহ্যবস্তু রয়েছে। বৈদ্যুতিক সংযোগও আছে। অনেকে মশার কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমায়, বিড়ি-সিগারেট খায়। রান্নার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার আছে। তাই আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, এর সঙ্গে কোনো নাশকতাকারী জড়িত কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। জেলা প্রশাসক ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
তিনি বলেন, অনেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি-এখানকার বেশিরভাগ ঘরেই মানুষ ভেতর থেকে তালা মেরে ঘুমান। তালা খোলার ঝক্কির কারণে দুর্ঘটনার সময় তাড়াহুড়ো করে নিজেরা বের হতে কিংবা জিনিসপত্র বের করতে বেগ পেতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি