ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
‘নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ’ ‘নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ’। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেছেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের মেয়াদ তিন বছর। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা যাবে না।

শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিডিএ চেয়ারম্যানের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আবদুচ ছালাম এ কথা বলেন।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।

সভার শুরুতে সিডিএ বোর্ড সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লব জলবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শুরুর এক বছর পার হলেও এখনো তেমন অগ্রগতি হয়নি। খালগুলো যেভাবে ভরাট হয়ে আছে, আসছে বর্ষায় চট্টগ্রামবাসী আবারো জলাবদ্ধতায় ভুগবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

এর প্রেক্ষিতে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী চট্টগ্রামের ৫৭টি খাল বিদ্যামান। সেখান থেকে ৩৬টি খাল প্রকল্পে বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পর্যায়ক্রমে বাকী খালগুলো প্রকল্পের আওতায় আসবে। সেজন্য প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের সমস্যা। এ সমস্যা নিরসনের ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যেহেতু বৃহৎ প্রকল্প, তাই এটির কাজ শেষ হতে সময়ও বেশি লাগবে।

‘ইতোমধ্যে ১১টি খাল চিহ্নিত করে ডিটেইল ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু কাজটি খুব জটিল ছিল। কারণ ডিটেইল ডিজাইনের মাধ্যমে ওই খালের এরিয়াতে কি পরিমাণ বৃষ্টি হতে পারে, ২০০ বছর পর কি পরিমাণ বৃষ্টি হবে, সেটি বের করে খালটির দৈর্ঘ্য-প্রস্থ এবং গভীরতা নির্ধারণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ১১টি খালের ডিটেইল ডিজাইন তৈরি করতে আবারও বর্ষা এসে গেছে। তাই ডিজাইন মোতাবেক কাজ বাদ দিয়ে আপাতত বিকল্প চিন্তা করতে হচ্ছে।

‘নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ’।  ছবি: উজ্জ্বল ধরক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা মোকাবেলা করা হবে

সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর গত বছরের এপ্রিলে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করে। মে মাসে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময়ের মধ্যে যেসব খাল পরিষ্কারের সুযোগ হয়েছে, সেখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। ফলে মানুষ সুফল ভোগ করেছেন।

এজন্য আসছে বর্ষার আগে ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’র মাধ্যমে খালগুলো পরিষ্কার করবো। যাতে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেওয়া যায়। ’

আবদুচ ছালাম বলেন, সিডিএ ছোট একটি প্রতিষ্ঠান। জনবলসহ এ প্রতিষ্ঠানে একাধিক সমস্যা রয়েঝে। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার পর টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে অসাধ্য সাধন করতে নেমেছিলাম। যানজট-জলাবদ্ধতামুক্ত নগরের যে আকাঙ্খা চট্টগ্রামবাসীর, সেটিকে প্রাধান্য দিয়ে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করি।

সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, নগরকে নিয়ে সিডিএ’র মহাপরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপনের পর তিনি সম্মতি দেন। এরপর থেকে উন্নয়নের যাত্রা শুরু হয়।

‘গত ১০ বছরের নগরীতে এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে যেখানে যান, উন্নয়ন হয়নি এমন জায়গা খুঁজে পাবেন না। ’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, সিডিএ সচিব তাহেরা ফেরদৌস, সিডিএ বোর্ড সদস্য জসিম উদ্দিন শাহ, হাসান মুরাদ বিপ্লব, গিয়াস উদ্দিন, এম আর আজিম, কেবিএম শাহজাহান, আশিক ইমরানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯

এসইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।