তবে প্রশাসনের যথাযথ তদারকির অভাবে চক্রটি এ অপকর্ম দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ।
হাটহাজারীতে বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে টানা তিনদিনের অভিযানে প্রায় ১৬ হাজার পিস সরকারি ওষুধ জব্দ করা হয়েছে।
পৌরসভার চারটি ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন এসব ওষুধ জব্দ করেন।
অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক কিংবা সাজা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
ইউএনও রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এসব দোকানে অভিযান চালানো হয়। চারটি দোকান থেকে ১৫ রকমের সরকারি ওষুধ মিলেছে। এ ছাড়া সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সামগ্রীও পাওয়া গেছে।
‘ওষুধগুলোর মোড়কে মূ্ল্য উল্লেখ নেই। তবে বেসরকারি ওষুধের সঙ্গে গ্রুপ মিলিয়ে দাম নির্ধারণ করে এগুলো ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। ’
রুহুল আমিন বলেন, দোকান চারটির কর্মচারীরা জানিয়েছে, ‘অর্ডার দিলে হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরীহাট এলাকার একজন ব্যক্তি এসব ওষুধ দোকানে পৌঁছে দেয়। সে হাটহাজারীর পাশাপাশি রাউজানেও সরকারি ওষুধ সাপ্লাই করে। ওই ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। ’
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, বিনামূল্যে সরবরাহের সরকারি ওষুধ খোলাবাজারে ক্রয়-বিক্রয় দণ্ডনীয় অপরাধ।
‘ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এসব বিষয় তদারকি করে। তবে আমার আওতাধীন কোনো চিকিৎসা কেন্দ্রের কেউ এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক মো. কামরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, যেসব ওষুধ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ।
‘চট্টগ্রাম বা আশপাশের কোনো না কোনো সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে এসব ওষুধ আসছে। চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী এ কাজে জড়িত। যেসব ওষুধের খোঁজ পাচ্ছি, সেগুলো কোথা থেকে আসছে তা বের করার চেষ্টা চলছে। ’
তবে সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে যথাযথ তদারকি করা হলে ওষুধ পাচার বন্ধ হবে বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
এসইউ/এসি/টিসি