গান, নাচ, আড্ডা, পিঠা খাওয়া প্রতিযোগিতা কিংবা স্মৃতিচারণ। কী নেই অনুষ্ঠান সূচীতে! মেয়েদের পরনে হলুদ রঙের শাড়ি, অন্যদিকে ছেলেরা ছিলেন লাল রঙের পাঞ্জাবিতে।
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে কালচারাল ক্লাব এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, বসন্ত কচিপাতায় আনে নতুন রঙ, আলোর নাচন। পুরোনো স্মৃতির জীর্ণতা ভুলে গিয়ে আগামি দিনে ইতিবাচক কাজে সবার সাফল্য আসবে এমনটা চাওয়া আমার।
অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে কালচারাল ক্লাবের উপদেষ্টা ড. রোবাকা শামসের বলেন, ঋতু বসন্ত মনকে সাজায় বাসন্তী রঙে। বাঙালির চিরচেনা এই উৎসবে আমরা সবাই মিলে প্রাণের বাংলাকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেছি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল হক খান, অধ্যাপক কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ, ড. মোহাম্মদ নাঈম আবদুল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আনজুমান বানু লিমা প্রমুখ।
কৃতী শিক্ষার্থী তাসরিন চৌধুরীর প্রাণবন্ত উপস্থাপন আর মুহুর্মুহু করতালি-উচাটন হয়ে ওঠে উপস্থিত দর্শকদের মন। আহা আজি এ বসন্তে/এতো ফুল ফোটে-শুরুতেই দলীয় সংগীত। এরপর একে একে গান ও নৃত্য নিয়ে আসে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় কিংবা বসন্ত বাতাসে সই গো গানগুলো বারবারই ছড়িয়ে দিচ্ছিলো তারুণ্যের সুবাস।
অন্যদিকে নৃত্য আর পুঁথিপাঠের আসরে গ্রামবাংলার লোকজ সংস্কৃতি ফুটে উঠে আরও একবার। সাংস্কৃতিক পর্বে যারা অংশ নিয়েছেন তারা হলেন: অমিতাভ, অপূর্ব, জয়, মিম, সামিহা, স্নেহা, অন্তরা, রাহিয়া, তাজরিন, আনিন্দিতা, মিতু, মোবাশ্বেরা, রাইয়ান, হাবিব, আতিয়া প্রমুখ।
বসন্ত উৎসবের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে আরও ছিলো গ্রাম বাংলার পিঠার সমাহার। সেখানে ঠাঁই পেয়েছিলো আমাদের মা-খালা-চাচীদের হাতে বানানো মজাদার পিঠা পানতুয়া, নকশী, গুড়ের পায়েস, হাওয়াই মিঠা, বাতাসা, পাটিসাপ্টা, ছাঁচপাকন, টুনি, ভাবা, শাহি, দুধ চিতুই, সিদ্ধ কুলি, তিলের পুলি, নারিকেলের পুলি, সুন্দরী পাকান..............কতো কী!
অনুষ্ঠানে সেরা পিঠা খাদক হয়েছেন আলী আরমান। সেরা স্টলের পুরস্কার পেয়েছে চট্টল পিঠা ঘর। মাহি মারজান ও ফয়সাল হাসান নামের দুই শিক্ষার্থীকে দেখা গেলো বেশ মজা করে পিঠা খেতে। তাদের পাশেই হুমায়রা আনজুম নামের আরেক ছাত্রী বলেন, ভীষণ ভালো লাগছে। এই ধরনের উৎসব গন্তব্যহীন শহরে জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
এমআর/টিসি