মঞ্চের পাশে স্টলটির অবস্থান। এখনো পুরোপুরি চালু না হলেও স্টলটিতে জটলা দেখা গেছে আগতদের।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা যায়, সাজানো হচ্ছে স্টলটি। এর মধ্যেও আশপাশে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে।
বন্ধুদের সঙ্গে মেলাতে এসে স্টলটি পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইনুল হোসেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, স্থির চিত্রে স্থান পাওয়া অনেক ইতিহাস আমাদের অজানা। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে এসে ইতিহাস দেখতে পেয়ে ভালোই লাগছে। ’
প্রদর্শনীতে রয়েছে আদি যুগের ঐতিহ্যবাহী প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, মোগল শাসনামলের ঐতিহ্য, ব্রিটিশ শাসন, ভারতবাসীর আন্দোলন-সংগ্রামের ঐতিহাসিক চিত্র।
দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান, পূর্ব বাংলার মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বীরত্ব ফুটে উঠেছে এমন ছবিও রয়েছে।
এ ছাড়া রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা কেন্দ্রিক ছবিগুলো প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।
পাশাপাশি স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদীদের হিংস্রতা, নিপীড়ন, নির্যাতন হত্যাযজ্ঞ, সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, হেফাজতের আলামত ও পেট্রোলবোমায় গণমানুষ পোড়ানোর স্থির চিত্র নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের।
আলোকচিত্র সংগ্রাহক ও প্রদর্শনীর সমন্বয়ক সাহাবউদ্দিন মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, ইতিহাস থেকে মানুষ শেখে। সে চিন্তা থেকে এসব চিত্র সংগ্রহ করি। পাশাপাশি প্রদর্শনীর মাধ্যমে মানুষকে জানাতে চেষ্টা করি।
ইতিহাস কথা কয় সংগঠনটির যাত্রা শুরু ২০০১ সালে। এটি তাদের ৫২০ তম প্রদর্শনী।
চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সহায়তায় ১৯ দিনব্যাপী এ বইমেলার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১১০টি প্রকাশকের স্টল রয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে মেলা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
এসইউ/টিসি