কেউ গল্প লেখেন- হয়তো জীবনে প্রথমবার। কেউ কবিতা রচনা করেন- হয়তো প্রথম প্রেমের অনুভূতির পর।
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সহিত্যচর্চা করা এমন সব লেখকদের নির্বাচিত গল্প, কবিতা, ছড়া, ভ্রমণ কথা নিয়েই ৫২টি বই প্রকাশ করেছে পেন্সিল প্রকাশনী।
নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম মাঠে শুরু হওয়া অমর একুশে বইমেলায় ব্যতিক্রমধর্মী প্রকাশনার এ প্রকাশনী নজর কেড়েছে সবার। বই কিনতে সেখানে ভিড় জমিয়েছেন সাহিত্যপ্রেমী পাঠকরা।
পেন্সিল প্রকাশনীর সঙ্গে যুক্ত লেখক রুহু রুহেল বাংলানিউজকে জানান, ২০১৬ সালে একদল সাহিত্যপ্রেমী তরুণ নতুন লেখকদের জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়। একই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর তৈরি করা হয় একটি ফেসবুক গ্রুপ। নাম দেওয়া হয় ‘পেন্সিল’।
তিনি বলেন, সুস্থধারার, ভালো মানের সাহিত্যচর্চা করে এমন লেখকদের এ প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করা শুরু হয়। বছর খানেকের মধ্যেই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এরপর আমরা গ্রুপ মেম্বারদের জন্য নতুন কিছু করার পরিকল্পনা নিই। প্রকাশনায় আসা এ পরিকল্পনারই অংশ।
রুহু রুহেল জানান, নতুন লেখকদের উৎসাহিত করতে এবং ভালো মানের দেশীয় সাহিত্য চর্চার বিকাশ ঘটাতে এবারই প্রথম প্রকাশনা সংস্থা হিসেবে বই মেলায় অংশ নিচ্ছে পেন্সিল। চট্টগ্রামের অমর একুশে বই মেলায় ৫২টি নতুন বই প্রকাশ করেছি আমরা।
তিনি জানান, আমাদের দেশে অনেক প্রতিভাবান লেখক আছেন, যারা নির্দিষ্ট একটি প্ল্যাটফর্মের অভাবে লেখালেখিটা চর্চা করতে পারেন না। তাদের জন্য পেন্সিল দারুণ একটি প্ল্যাটফর্ম। ব্যতিক্রমধর্মী এ প্রকাশনায় পাঠকদের দারুণ সাড়া পাচ্ছি।
সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বইমেলা ঘুরে দেখা গেছে, শুধু পেন্সিল প্রকাশনী নয়, কুঁড়ে ঘর, প্রথমা, খড়িমাটিসহ একাধিক স্টলেই ছিলো সাহিত্যপ্রেমী পাঠকের উপচে পড়া ভিড়।
অমর একুশে বইমেলার যুগ্ম সচিব জামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, বইমেলার দ্বিতীয় দিন দেড়শটির মতো নতুন বই এসেছে। সাহিত্যপ্রেমী মানুষের পদচারণায় বইমেলা ছিলো মুখর।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গড়ে প্রতিটি স্টলেই ৫-৭ হাজার টাকার বই বিক্রি হয়েছে দ্বিতীয় দিন। তবে দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বই বিক্রির এ পরিমাণ আরও বড়বে বলে আমরা আশাবাদী।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সহায়তায় ১৯ দিনব্যাপী এ বইমেলার আয়োজন করেছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১১০টি প্রকাশকের স্টল রয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে মেলা শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
এমআর/টিসি