সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম।
পুলিশ লিমনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে আসে।
ফরহাদ হোসেন লিমন নিয়মিত ভারতীয় ধারাবাহিক ‘ক্রাইম পেট্রোল’ দেখতো।
রিমান্ডের প্রথম দিনে আসামি লিমনের দেওয়া তথ্যে পুলিশ লুট হওয়া কানের দুল, চেইন, ব্রেসলেটসহ স্বর্ণালঙ্কার ও অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করে। সাউন্ড বক্সের ভেতরে লুকানো ছিল এসব সামগ্রী।
আমেনা বেগম জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে হাসিনা বেগমকে (৩২) হত্যা করে ফরহাদ হোসেন লিমন। পরে হাসিনা বেগমের মরদেহ বাসার বাইরে আরেকটি কক্ষে তালা মেরে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাসিনা বেগমের ভাই মো. মানিক আকবর শাহ থানায় মামলা দায়ের করেন।
আকবর শাহ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘ফরহাদ হোসেন লিমনকে গ্রেফতারের পর পাঁচদিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। রিমান্ডের প্রথম দিনেই লিমন তার ভাবিকে হত্যার কথা স্বীকার করে। ’
তিনি বলেন, ‘লিমন জানিয়েছে-দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে। হত্যাকাণ্ডের দিন হাসিনা বেগমের বাসায় টিভি দেখার কথা বলে প্রবেশ করে। পরে রাতে ঘুমিয়ে গেলে পরিকল্পনা অনুযায়ী হাসিনা বেগমকে খুন করে মরদেহ লুকিয়ে রাখে এবং স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে যায়। ’
মহিবুর রহমান বলেন, ‘লিমন পুলিশকে জানিয়েছে-সে নিয়মিত ক্রাইম পেট্রোল দেখে। সেখান থেকে প্রভাবিত হয়ে ক্ষোভ থেকে খুনের পরিকল্পনা করে বলে জানিয়েছে। ’
হাসিনা বেগম নোয়াখালীর শফিগঞ্জ এলাকার পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের মেয়ে। তিনি আকবর শাহ থানাধীন কালির হাট ১নম্বর গলিতে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং গার্মেন্টে চাকরী করতেন। আসামি লিমন চাঁদপুরের পাইকপাড়া এলাকার আবুল কাশেম পাটোয়ারীর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) মো. কামরুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (পাহাড়তলী জোন) পংকজ বড়ুয়া, আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
এসকে/এসি/টিসি