ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আরও ৩ লাখ গ্রাহক পাচ্ছেন প্রি-পেইড মিটার

জমির উদ্দিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
আরও ৩ লাখ গ্রাহক পাচ্ছেন প্রি-পেইড মিটার প্রি-পেইড মিটার

চট্টগ্রাম: প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আসছেন আরও তিন লাখ নতুন গ্রাহক। নগরসহ আশপাশের এলাকায় ২০১৯ সালের মধ্যে গ্রাহকরা এ মিটার পাবেন। এতে যেমন কমে যাবে বিদ্যুতের অপচয়, তেমনি অতিরিক্ত টাকা দেয়ার অভিশাপ থেকেও মিলবে মুক্তি। 

পিডিবি সূত্র জানায়, পিডিবির অধীনে ‘প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ফর ডিস্ট্রিবিউশন সাউদার্ন জোন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। পরে ২০১৭ সালে এ প্রকল্পের অধীনে ১ লাখ ৩৯ হাজার ও ২০১৮ সালে চার লাখ নতুন গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের সুবিধা দেওয়া হয়।

এ হিসেবে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রায় ৭ লাখ গ্রাহক প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আসছে।  

পিডিবি চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে ১২টি বিক্রয় ও বিতরণ কার্যালয় রয়েছে।

২০১৮ সাল পর্যন্ত চার লাখের বেশি গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। হিসেব মতে, চট্টগ্রামসহ আশেপাশের এলাকায় প্রি-পেইড মিটার পায়নি এরকম গ্রাহক রয়েছে আরও তিন লাখ। তাদেরকেও ২০১৯ সালের মধ্যে এ ডিজিটাল মিটারের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয়, গ্রাহক হয়রানি ও অনিয়ম দূর করতে মূলত এ ডিজিটাল মিটারিং। প্রথমদিকে অতিরিক্ত টাকা কাটার অভিযোগ আসলেও এখন তেমন অভিযোগ নেই।

ষোলশহরে ২০২০৬ এমভি ট্রান্সফরমার চালু

গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দূর করতে ষোলশহর উপকেন্দ্রে ২০২০৬ এমভি ট্রান্সফরমার চালু করা হয়েছে। রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) এ ট্রান্সফরমার বসানো হয়। প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে ষোলশহর এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ভোগান্তিতে ছিলেন গ্রাহকরা। এ ট্রান্সফরমার চালুর মাধ্যমে শহরের অন্যান্য এলাকায়ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলে জানান প্রবীর কুমার সেন।

শিল্প প্রতিষ্ঠানে শতভাগ বিদ্যুৎ

বিএসআরএম, কেএসআরএম, আবুল খায়ের গ্রুপসহ চট্টগ্রামে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে ৯টি, যেগুলোতে ২৩০/১৩২ কেভি বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য ৩২ কেভি মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানেও শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রবীর কুমার সেন।

তিনি বলেন, শুধু শীতকালে নয়, গ্রীষ্মকালেও এসব বড় ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে আমরা প্রস্তুত। মাঝে-মধ্যে যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়, তা কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে নয়। উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চলার কারণে এসময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
জেইউ/এসি/টিসি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।