পিডিবি সূত্র জানায়, পিডিবির অধীনে ‘প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ফর ডিস্ট্রিবিউশন সাউদার্ন জোন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। পরে ২০১৭ সালে এ প্রকল্পের অধীনে ১ লাখ ৩৯ হাজার ও ২০১৮ সালে চার লাখ নতুন গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের সুবিধা দেওয়া হয়।
পিডিবি চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে ১২টি বিক্রয় ও বিতরণ কার্যালয় রয়েছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয়, গ্রাহক হয়রানি ও অনিয়ম দূর করতে মূলত এ ডিজিটাল মিটারিং। প্রথমদিকে অতিরিক্ত টাকা কাটার অভিযোগ আসলেও এখন তেমন অভিযোগ নেই।
ষোলশহরে ২০২০৬ এমভি ট্রান্সফরমার চালু
গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দূর করতে ষোলশহর উপকেন্দ্রে ২০২০৬ এমভি ট্রান্সফরমার চালু করা হয়েছে। রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) এ ট্রান্সফরমার বসানো হয়। প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে ষোলশহর এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ভোগান্তিতে ছিলেন গ্রাহকরা। এ ট্রান্সফরমার চালুর মাধ্যমে শহরের অন্যান্য এলাকায়ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলে জানান প্রবীর কুমার সেন।
শিল্প প্রতিষ্ঠানে শতভাগ বিদ্যুৎ
বিএসআরএম, কেএসআরএম, আবুল খায়ের গ্রুপসহ চট্টগ্রামে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে ৯টি, যেগুলোতে ২৩০/১৩২ কেভি বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য ৩২ কেভি মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানেও শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রবীর কুমার সেন।
তিনি বলেন, শুধু শীতকালে নয়, গ্রীষ্মকালেও এসব বড় ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে আমরা প্রস্তুত। মাঝে-মধ্যে যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়, তা কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে নয়। উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চলার কারণে এসময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
জেইউ/এসি/টিসি