রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. মোতাহির আলী এ আদেশ দেন বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(২) ধারায় ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একই রায়ে আদালত আমির হোসেনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পাওয়া আমির হোসেন ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানাধীন সাপমারা ফকিরের টিলা এলাকার ওমর আলীর ছেলে।
বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আবু নাসের।
তিনি বলেন, ‘ধর্ষণ, হত্যা ও অপহরণের দায়ে পৃথক ধারায় আসামি আমির হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মোট দেড় লাখ জরিমানাও করা হয়েছে। ’
২০০৮ সালের ১৭ মে হাটহাজারীর দক্ষিণ পূর্ব মেখল এলাকার খলিল চৌধুরীর বাড়িতে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় জুলি আক্তারকে। পরে ১৯ মে এ ঘটনায় জামাল নামে একজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন জুলির ভাই আবদুর রহিম। পরে পু্লিশ তদন্তে জানতে পারে, জামালের আসল নাম আমির হোসেন। তাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পু্লিশ। আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় আমির হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
এসকে/এসি/টিসি