ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চমেক হাসপাতালে হচ্ছে ৫০ শয্যার ডায়ালাইসিস কেন্দ্র

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৯
চমেক হাসপাতালে হচ্ছে ৫০ শয্যার ডায়ালাইসিস কেন্দ্র চমেক হাসপাতালের কিডনি বিভাগে ডায়ালাইসিস সেবা।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যার ডায়ালাইসিস কেন্দ্র গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ডায়ালাইসিস কেন্দ্রটি নির্মাণে খরচ হবে ৬ কোটি টাকা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেন্দ্রটি নির্মাণের জায়গাও নির্ধারণ হয়েছে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিনিধি দল হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।

এ কেন্দ্র চালু হলে মাত্র ৪২০ টাকায় (প্রতি সেশন) ডায়ালাইসিস সেবা পাবেন রোগীরা।

বর্তমানে হাসপাতালের কিডনি (নেফ্রোলজি) বিভাগে ৮টি ডায়ালাইসিস মেশিন রয়েছে।

এর মধ্যে ১টি মেশিন নষ্ট। বাকী ৭টি মেশিনে নির্দিষ্ট রোগীরা ডায়ালাইসিস সেবা পান। সেবার বিপরীতে প্রতি রোগীকে ৬ মাসের জন্য ২০ হাজার টাকা ফি দিতে হয়।

এ ছাড়া পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় হাসপাতালের নিচতলায় চালু আছে ৩১ বেডের স্যান্ডর ডায়ালাইসিস কেন্দ্র। সেখানে হাসপাতাল থেকে রেফার করা রোগীরা স্বল্প দামের ডায়ালাইসিস সেবা পান।

জানা গেছে, সরকারের সঙ্গে স্যান্ডরের চুক্তি অনুযায়ী প্রতিবছর হাসপাতালের রোগীরা স্বল্প দামের ১০ হাজার সেশন পান।

স্যান্ডর সূত্রে জানা যায়, হাসপাতাল থেকে রেফার করা দৈনিক গড়ে ৪৫ জন দরিদ্র রোগীর ডায়ালাইসিস করা হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান ডা. প্রদীপ কুমার দত্ত বাংলানিউজকে বলেন, রোগীর তুলনায় আমাদের সুবিধা অনেক কম। অনেকে কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিস দরকার হলেও সুযোগের অভাবে দিতে পারছে না।

‘৫০ বেডের নতুন ডায়ালাইসিস কেন্দ্র গড়ার উদ্যোগ সময়োপযোগী। এটি চালু হলে অনেক অসহায়-গরীব রোগী স্বল্প দামে ডায়ালাইসিস সেবা নিতে পারবেন। ’

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের সঙ্গে স্যান্ডরের চুক্তির মেয়াদ ১০ বছর। শর্ত অনুযায়ী ডায়ালাইসিস কেন্দ্রে প্রতিবার ডায়ালাইসিসের খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩০০ টাকা। দরিদ্র রোগীরা দেবে ৪২০ টাকা করে। এজন্য স্যান্ডরকে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার।

ডা. আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি ১০ বছর পর ব্যবসা গুটিয়ে পুরনো যন্ত্রপাতি হাসপাতালকে দিয়ে যাবে। কিন্তু ১০ বছর পর মেশিনগুলোর কার্যক্ষমতা ৫০ শতাংশের বেশি কমে যাবে। সুতরাং মেশিনগুলোর মাধ্যমে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। ’

‘এজন্য নতুন ডায়ালাইসিস কেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে হাসপাতালের রোগীরা দীর্ঘমেয়াদি সেবা পান। স্বাস্থ্য অধিদফতরকে চাহিদাপত্র দেওয়ার পর প্রতিনিধি দল এসে পরিদর্শন করেছে। অর্থ ছাড় পেলে দ্রুত ডায়ালাইসিস কেন্দ্র গড়ার কাজ শুরু হবে’ বলেন ডা. আখতারুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯
এসইউ/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।