ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পিকনিকের বাসসহ র‌্যাবের হাতে ইয়াবার বড় চালান আটক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৯
পিকনিকের বাসসহ র‌্যাবের হাতে ইয়াবার বড় চালান আটক ইয়াবাসহ আটককৃতরা। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: যশোর থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে গিয়ে ফিরে আসার সময় পিকনিকের বাস থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ছয়জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর সদস্যরা।

শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর ওপর থেকে পিকনিকের বাসসহ তাদের আটক করা হয়।

আটক ছয়জন হলেন- মো. আতিয়ার রহমান (৫৫), মো. মাসুদ রানা (৩১), মো. বাবলু (৪৭), মো. ইকবাল হোসেন (৩৭), মো. জুয়েল (৩৯) ও মো. আমিনুর রহমান সুমন (২৩)।

 তাদের বাড়ি যশোর, রাজশাহী ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

শনিবার সকাল ৮টায় ঘটনাস্থলে প্রেস ব্রিফিংয়ে তাদের আটকের বিষয়টি জানান র‌্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম।

শাফায়াত জামিল ফাহিম বলেন, ‘যশোর থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে গিয়ে ফেরার পথে বাসের ভেতরে মালপত্র রাখার জায়গায় কৌশলে লুকিয়ে ইয়াবা নিয়ে আসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহ আমানত সেতুর উপরেই বাসটি আটক করে তল্লাশী চালানো হয়। পরে বাসে মোট ২ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। ’

প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন শাফায়াত জামিল ফাহিম।  ছবি: বাংলানিউজমো. আতিয়ার রহমান, মো. মাসুদ রানা, মো. বাবলু ও মো. ইকবাল হোসেন ইয়াবাগুলোর মালিক বলে জানান শাফায়াত জামিল ফাহিম।

আতিয়ার রহমান বাসটির মালিক এবং তার উদ্যোগে আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করা হয় বলে জানান তিনি।

শাফায়াত জামিল ফাহিম বলেন, ‘৫ জানুয়ারি ৪০ যাত্রীসহ বাসটি যশোর থেকে কক্সবাজার যায়। বাসে থাকা সবাই একে অপরের আত্মীয় ও বন্ধু। কিন্তু সবাই ইয়াবা নিয়ে আসার সঙ্গে জড়িত নয়। ছয়জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছি। তারা র‌্যাবের কাছে বিষয়টি স্বীকারও করেছে। ’

তিনি বলেন, ‘বাসটি কক্সবাজার যাওয়ার পর সেখান থেকে টেকনাফ যায়। বাসের সব যাত্রী সেন্টমার্টিন বেড়াতে যান। কিন্তু টেকনাফে বাসের সঙ্গে রয়ে যান আতিয়ার রহমান, মাসুদ রানা, বাবলু, ইকবাল হোসেন, বাসের চালক জুয়েল ও আমিনুর রহমান সুমন। তারা বাসের ভেতরে মালপত্র রাখার জায়গায় কৌশলে ইয়াবাগুলো রাখে, যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেওয়া যায়। ’

ইয়াবাগুলো চট্টগ্রাম, ঢাকা ও যশোরে হস্তান্তর করার পরিকল্পনা ছিল বলে জানান শাফায়াত জামিল ফাহিম।

প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান, মিডিয়া অফিসার এএসপি মো. মাশকুর রহমান, এএসপি কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজসহ র‌্যাবের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্ধার করা ২ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবার চালানটি র‌্যাব-৭ এর হাতে আটক হওয়া এ বছরের সবচেয়ে বড় চালান বলে জানান শাফায়াত জামিল ফাহিম।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯
এসকে/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।