শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বইমেলা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, এবার ৮০ হাজার ৩০০ বর্গফুট জুড়ে অমর একুশে বইমেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রকাশকদের ১১০টি স্টল থাকবে।
ইতিহাস, ঐতিহ্য, দ্রোহ ও বিপ্লবের তীর্থভূমি চট্টগ্রামে জ্ঞান ও মননের আকাঙ্ক্ষা পূরণে এ বইমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। প্রতিদিন বইমেলা মঞ্চে আলোচনা ও সংগীতানুষ্ঠানের পাশাপাশি রবীন্দ্র, নজরুল, বসন্ত উৎসব, ভালোবাসা দিবস, রম্য বিতর্ক, পাঠক সমাবেশ, সাহিত্য আড্ডা, বিতর্ক, কুইজ, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা থাকবে। সব মিলিয়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সম্মিলন ঘটবে।
মেয়র বলেন, স্টেডিয়ামপাড়ায় প্রতিদিনই মা-বোন, অভিভাবকেরা আসেন। শতভাগ নিরাপদ। চুল পরিমাণ নিরাপত্তাহীন ভাবার কারণ নেই। মেলাকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। পুরো মেলাকে সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
মেলাকে আকর্ষণী করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, সংস্কৃতিকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন উপ-পরিষদ গঠন করা হয়েছে। জাতীয় জীবনে যারা কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাদের একুশে স্মারক সম্মাননা পদক ও সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হবে। বিনামূল্যে ওয়াইফাই, ই-বুক ও সেলফি কর্নার, চিত্র প্রদর্শনী, হেলথ কর্নার, মিডিয়া বুথ, এটিএম বুথ থাকবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, এবারের বইমেলার জন্য প্রাথমিকভাবে ২১ লাখ ৪০ হাজার টাকার বাজেট করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন একুশে বইমেলা পরিচালনা পরিষদের আহ্বায়ক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি ও বইমেলা পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, মেলা পরিচালনা কমিটির সচিব ও চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, যুগ্ম সচিব লেখক-গবেষক জামাল উদ্দীন, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি