সকাল ৯টা থেকে কর্ণফুলীর মাঝির ঘাট এলাকায় অভিযান শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, দ্বিতীয় দিনে যেসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে, তার প্রায় সবই পাকা স্থাপনা। তাই সময় লেগেছে একটু বেশি।
তিনি জানান, উচ্ছেদ করা স্থাপনার মধ্যে চাল, চিনি, লবনসহ কয়েকটি ভোগ্য পণ্যের গুদাম রয়েছে। এছাড়াও একটি উপখালের প্রবেশমুখ দখলমুক্ত করা হয়েছে।
তাহমিলুর রহমান জানান, কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ দীর্ঘদিনের চ্যালেঞ্জ ছিলো। শেষ পর্যন্ত আমরা সফল হয়েছি। উচ্ছেদ অভিযান চলছে। যে কোনো মূল্যে তা অব্যাহত রাখা হবে। প্রতিটি অবৈধ স্থাপনা হাই কোর্টের আদেশে ‘নির্দয়ভাবে’গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, হাই কোর্টের রায় অনুযায়ী অভিযান চালানো হচ্ছে। যত দিন সব স্থাপনা উচ্ছেদ না হবে ততদিন অভিযান চলবে। সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত ২০০ অবৈধ স্থাপনা আছে। এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে ১০ একর জমি উদ্ধার হবে। কে বড়, কে ছোট-সেটি বিবেচ্য নয়। সব অবৈধ স্থাপনেই উচ্ছেদ করা হবে।
এর আগে উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম দিন সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কর্ণফুলীর সদরঘাটের লাইটার জেটি এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। এ সময় প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৪ একর ভূমি দখলমুক্ত করা হয়।
অভিযানে র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য অংশ নেন। ১০০ শ্রমিক উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ স্থাপনা ভাঙার কাজ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
এমআর/টিসি