মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুলিশ, র্যাব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বিআইডব্লিউটিএ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন।
এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমান।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা ও র্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজের নেতৃত্বে দুই শতাধিক পুলিশ ও র্যাব সদস্য উচ্ছেদ অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটকে সহযোগিতা করছেন।
নোবেল চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, ‘সদরঘাট থানার এলাকার কর্ণফুলী ঘাট এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান চলছে।
উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম দিন সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ১ কিলোমিটার এলাকা দখলমুক্ত করা হয়েছে। এ সময় ৮০টি অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ৪ একর ভূমি উদ্ধার করা হয়।
২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলীর দুই তীরে গড়ে ওঠা স্থাপনা সরাতে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দেন। ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
এরপর আরও কয়েকবার অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিলেও সাড়া মেলেনি। ফলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযানও শুরু করতে পারেনি জেলা প্রশাসন।
সর্বশেষ অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের আশ্বাসে সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
এআর/টিসি