সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল ইমরান খানের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাব উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আদালত তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) চান্দগাঁও থানা পুলিশ তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করে। শনিবার রিমান্ডের আবেদন জমা দেওয়া হলেও শুনানি হয়নি।
শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তানজিলা হক চৌধুরী মিতুসহ ছয়জনকে এজাহারনামীয় আসামি ও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে চান্দগাঁও থানায় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের মা জোবেদা খানম।
মামলায় আসামিরা হলেন-তানজিলা হক চৌধুরী মিতু (২৯), তার মা শামীম শেলী (৪৯), বাবা আনিসুল হক চৌধুরী (৫৫), বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা (২১), তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর দুই ছেলে বন্ধু উত্তম প্যাটেল ও ডা. মাহবুবুল আলম (২৮)। এছাড়া ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে নগরের নন্দনকানন এলাকায় তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে তার খালাতো ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
গ্রেফতারের পর তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমানত শাহ (র.) মাজার এলাকা থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মোস্তফা মোরশেদ আকাশ চন্দনাইশ উপজেলার বরকল বাংলাবাজার এলাকার আব্দুস সবুরের ছেলে। তিনি পরিবারসহ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি-ব্লক ২ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর বাড়ি কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া বড়ঘোপ এলাকায়। মিতুর পরিবার পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ২ নম্বর রোডের ৪০/এ নম্বর বাড়িতে বসবাস করেন। মিতু যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় থাকতেন। ১৩ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশে আসেন।
শুক্রবার বিকেলে তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. খাইরুল আমীনের আদালতে তোলা হলে আদালত মিতুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসায় ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করেন ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
এসকে/টিসি