পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান জানান, চাক্তাই থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত কর্ণফুলীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রমকে তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে।
কর্ণফুলী নদী রক্ষায় চট্টগ্রাম বন্দরের তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট মুনীর চৌধুরী পতেঙ্গা থেকে সল্টগোলা হয়ে বারিক বিল্ডিং মোড়, মাঝিরঘাট, সদর ঘাট, ইয়াকুব নগর, ফিরিঙ্গি বাজার, চাকতাই, লালদিয়ার চর, কালুরঘাট পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার এলাকায় চার হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিলেন। এতে কর্ণফুলী নদী তীরবর্তীসহ বন্দরের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার ১২৫ একর জমি উদ্ধার করা হয়। ২০০৬ সালে লালদিয়ার চর উচ্ছেদ অভিযানে ১০০ কোটি টাকার জমিও উদ্ধার করেন তিনি। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় রেলওয়ের দেড়শ কোটি টাকার জমি।
এদিকে সদরঘাটে বন্দরের লাইটারেজ জেটি থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত ভূমি পরিমাপ করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সীমানা পিলার ঠিক করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন বাংলানিউজকে জানান, কর্ণফুলী নদীর দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অর্থ বরাদ্দের অভাবে এতদিন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। ভূমিমন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা উচ্ছেদ অভিযানে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৯
এসি/টিসি