শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কর্ণফুলী নদীর দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পূর্ব পরিস্থিতি দেখতে এসে কর্ণফুলী ঘাটে ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে অনেকে ফোন করেছেন।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আরএস মূলে সব অবৈধ স্থাপনা সরানো হবে। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য একাধিক জোন করা হয়েছে। প্রথম জোনে অভিযান চালিয়ে ২০০ স্থাপনা সরানো হবে। এতে ১০ একরের বেশি জায়গা দখলমুক্ত হবে। ধীরে ধীরে সব জোনে উচ্ছেদ অভিযান চলবে।
২০১৫ সালের পর থেকে স্থাপনা তৈরির কোনো অনুমোদন ছিল না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অনুমোদন না নিয়ে যেসব স্থাপন তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো অবৈধ। তারপরেও যাদের স্থাপনা ছিল, তাদেরকে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। এখনো কিছু প্রতিষ্ঠান আবেদন করছে। তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি, অভিযান চলবে। ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। সরকারি-বেসরকারি সব স্থাপনা সরানো হবে।
কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রামের সম্পদ উল্লেখ করে জাবেদ বলেন, এ নদী বাঁচলে চট্টগ্রাম বাঁচবে। তাই কর্ণফুলীকে বাঁচাতে দল-মত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ কর্ণফুলীর তীরে গড়ে উঠা দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ প্রদান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৯
এসইউ/টিসি