শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় শুরু হওয়া পরীক্ষায় অংশ নিতে সাড়ে ৯টায় নগরের বিভিন্ন কেন্দ্রে উপস্থিত হন পরীক্ষার্থীরা। শেষ মুহুর্তের পরামর্শ আর দোয়া নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেন তারা।
নগরের কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, কেন্দ্রের সামনে ফুটপাতে বসে অপেক্ষা করছেন উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। কেউ পত্রিকা পড়ে, গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন।
খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ফুটপাতে বসে থাকা এক মা মেয়েকে পরীক্ষার হলে ঢুকিয়ে দিয়ে দোয়া-দরুদ পড়ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের প্রস্তুতি ভালো। প্রথমদিন বলেই একটু টেনশন কাজ করছে। মেয়েটা যেন ভয় না পায়, ঠিকভাবে পরীক্ষা শেষ করতে পারে-সেজন্য দোয়া করছি। ’
কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্র থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়েছিলেন এক বাবা। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আজও চাকরী ছিল। ছেলের পরীক্ষার জন্য ছুটি নিয়েছি। তিনঘণ্টার অস্থির সময় কাটছে। ’
নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে অপেক্ষায় থাকা গৃহিনী নাসরিন সুলতানা বলেন, ‘যতক্ষণ পরীক্ষা শেষ না হবে, ততক্ষণ বাসায় গিয়ে স্থির থাকতে পারব না। শিক্ষাজীবনের যে কয়েকটি ধাপ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টিতে ছেলে অংশ নিচ্ছে। একটু টেনশনতো হচ্ছেই। ’
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন সকালে পরীক্ষা শুরুর পর ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যে উৎকণ্ঠা ছিল-প্রশ্ন পাওয়ার পর সেটা কেটে গেছে। অনেকেই সাবলীলভাবে পরীক্ষা দিচ্ছে। সুন্দর পরিবেশে এবার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, পরীক্ষার আগে প্রশ্ন ফাঁসের যে আশংকা থাকে, সেটা চট্টগ্রাম জেলায় এ পর্যন্ত আমরা কারো কাছ থেকে শুনিনি। আগামি দিনগুলোতেও সব পরীক্ষা আমরা ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারবো। এজন্য জেলা-উপজেলায় ১৭টি ভিজিল্যান্স টিম কাজ করছে। টিমের কাউকে মোবাইল ফোন নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৯
এসি/টিসি