ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আদর্শে অবিচল ছিলেন নুরুল আলম চৌধুরী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৯
আদর্শে অবিচল ছিলেন নুরুল আলম চৌধুরী নুরুল আলম চৌধুরীর শোকসভায় বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: নুরুল আলম চৌধুরী ছিলেন দেশপ্রেমিক নেতা। তিনি আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল ছিলেন। তার মৃত্যুতে চট্টগ্রামে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রদূত, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম চৌধুরীর শোকসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।                                             <div class=

" src="https://www.banglanews24.com/media/imgAll/2018October25/bg/bg520190201195321.jpg" style="margin:1px; width:100%" />তিনি বলেন, নুরুল আলম চৌধুরীর মৃত্যুতে চট্টগ্রামবাসী শোকাহত। তিনি কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় তাকে জেলে যেতে হয়েছিল। ১৯৮৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যার মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদে যান। তিনি মৃত্যুকে ভয় করতেন না। তার বক্তৃতা শোনার জন্য মানুষ অপেক্ষা করতেন।

তিনি ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার প্রত্যয়ের কথা জানান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নুরুল আলম চৌধুরী কর্মী থেকে নেতা হয়েছেন। রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। ২৭ বছর বয়সে সংসদ সদস্য হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সংসদে। তিনি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পারতেন। তার সঙ্গে বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। তাকে হারিয়ে একজন নিবেদিত রাজনীতিককে হারিয়েছি। তার কাছ থেকে নতুন রাজনীতিকদের অনেক কিছু শেখার আছে।

বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। দক্ষিণ জেলা সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, নুরুল আলম চৌধুরী আমাদের অহংকার। ইচ্ছে করলে মানুষ ক্ষমতার জন্য আদর্শের সঙ্গে আপস করে। কিন্তু নুরুল আলম চৌধুরী ছিলেন আপাদমস্তক রাজনীতিক।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, প্রবীণ রাজনীতিক নুরুল আলম চৌধুরী ছিলেন সৎ, সাহসী ও ত্যাগী। বাবার সঙ্গে ১৯৮৬ সালে সংসদে ছিলেন। পারিবারিক সম্পর্ক ছিল আমাদের। তিনি মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন।

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নীতির প্রশ্নে আদর্শিক যোদ্ধা ছিলেন নুরুল আলম চৌধুরী। সুবিধাবাদী ছিলেন না। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার প্রশ্নে কোনো আপস করেননি। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ছিল তার।

মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, নুরুল আলম চৌধুরী আদর্শের প্রশ্নে পিছপা হননি। আমি শৈশব থেকে বাবার সঙ্গে দেখেছি। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তার জীবনাদর্শ থেকে শিক্ষা নিয়ে শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে।

নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে নুরুল আলম চৌধুরীর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম, ফটিকছড়ি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী প্রমুখ।

নুরুল আলম চৌধুরীর ছেলে রাহাত জিসান বলেন, বাবা এত জনপ্রিয় ছিলেন জানতাম না। বাবা 'বঙ্গবন্ধুর সাংসদ' পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতেন। বাবার জন্য শোকসভা করায় কৃতজ্ঞতা জানাই।

উপস্থিত ছিলেন নুরুল আলম চৌধুরীর ছোট ছেলে হাসিবুন সুহাদ সাকিবও।

জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি স্মারক প্রকাশনার ঘোষণা দেন এমএ সালাম।

সভা সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।