বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) কেবি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে প্রস্তাবিত খাল খনন প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্টের পূর্ব বাকলিয়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ভূমিমালিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হারুন উর রশিদ, সংরক্ষিত ওর্য়াডের কাউন্সিলর ফারজানা পারভীন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, এস্টেট অফিসার এখলাছুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল ইসলামসহ পূর্ব বাকলিয়া এলাকার প্রায় শতাধিক ভূমি মালিক উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র ১৯৯৫ সালের ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান অনুসরণে প্রকল্পের সম্পূর্ণ জমি অধিগ্রহণ পূর্বক নতুন প্রস্তাবনার আলোকে এ খাল খনন করা হবে।
একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী নান্দনিক দিক বিবেচনায় খালের দুইপাশে প্রয়োজনীয় বাড়তি জায়গা অধিগ্রহণ করে ওয়াকওয়ে নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছেন। ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬৫ ফুট প্রস্থের নতুন খাল খননকালে এর দুই পাশে প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ করা হবে। এর দুই পাশে ২০ ফুট প্রশস্ত সড়ক এবং ৬ ফুট প্রশস্ত ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, খাল খননের জন্য যে সব ভূমিমালিকের ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে তাদের টাকা যথাযথ প্রক্রিয়ায় মৌজা মূল্যের ৩ গুণ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে এক চুল পরিমাণ অনিয়মের সুযোগ থাকবে না। কোনো ভূমিমালিকের ভবন যদি প্রকল্পের প্রস্তাবিত অ্যালাইনন্টের মধ্যে পড়ে, তবে তাদের গণপূর্ত অধিদফতরের নিয়মনুসারে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
এ সময় মেয়র ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আমি যা বলি, তা করি। তাই ক্ষতিগ্রস্ত ভূমিমালিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। আপনারা অবশ্যই ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
এআর/টিসি