ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চসিকের খাল খননে মৌজা মূল্যের ৩ গুণ ক্ষতিপূরণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৯
চসিকের খাল খননে মৌজা মূল্যের ৩ গুণ ক্ষতিপূরণ বক্তব্য দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খননে বৃহত্তম বাকলিয়াবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) কেবি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে প্রস্তাবিত খাল খনন প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্টের পূর্ব বাকলিয়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ভূমিমালিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।

পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হারুন উর রশিদ, সংরক্ষিত ওর্য়াডের কাউন্সিলর ফারজানা পারভীন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, এস্টেট অফিসার এখলাছুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল ইসলামসহ পূর্ব বাকলিয়া এলাকার প্রায় শতাধিক ভূমি মালিক উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত ভূমিমালিকরা মেয়রের কাছে বিভিন্ন আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন।

মেয়র ১৯৯৫ সালের ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান অনুসরণে প্রকল্পের সম্পূর্ণ জমি অধিগ্রহণ পূর্বক নতুন প্রস্তাবনার আলোকে এ খাল খনন করা হবে।

এ জন্য ২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ভূমিমালিকরা মৌজা মূল্যের ৩ গুণ ক্ষতিপূরণ পাবেন। এ জন্য ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছিল। এ প্রকল্পের মূল ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা। সংশোধিত প্রকল্পব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৫৬ কোটি ১৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। সংশোধিত প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর একনেকে অনুমোদন পায়।

একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী নান্দনিক দিক বিবেচনায় খালের দুইপাশে প্রয়োজনীয় বাড়তি জায়গা অধিগ্রহণ করে ওয়াকওয়ে নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছেন। ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬৫ ফুট প্রস্থের নতুন খাল খননকালে এর দুই পাশে প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ করা হবে। এর দুই পাশে ২০ ফুট প্রশস্ত সড়ক এবং ৬ ফুট প্রশস্ত ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।

তিনি বলেন, খাল খননের জন্য যে সব ভূমিমালিকের ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে তাদের টাকা যথাযথ প্রক্রিয়ায় মৌজা মূল্যের ৩ গুণ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে এক চুল পরিমাণ অনিয়মের সুযোগ থাকবে না। কোনো ভূমিমালিকের ভবন যদি প্রকল্পের প্রস্তাবিত অ্যালাইনন্টের মধ্যে পড়ে, তবে তাদের গণপূর্ত অধিদফতরের নিয়মনুসারে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

এ সময় মেয়র ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, আমি যা বলি, তা করি। তাই ক্ষতিগ্রস্ত ভূমিমালিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। আপনারা অবশ্যই ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।