লুবনার বাবা ভাষাসৈনিক আবদুল্লাহ আল হারুন ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। ১৯৭০ সালে রাউজান থেকে তিনি প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
হারুনপুত্রী লুবনা মূলত বাবার কাছ থেকে পেয়েছেন অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রেরণা, অগ্নিযুগের বীরকন্যা প্রীতিলতা-কল্পনা-বীণা দাশের কাছ থেকে পেয়েছেন আপসহীন সংগ্রামী চেতনা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী এই নারী বর্তমানে প্রণয়ন ইন্টেরিয়র লিমিটেড এর পরিচালক এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সিভিল সোসাইটি কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক পরিচালক, চবি ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য, ইনার হুইল ক্লাব অব চট্টগ্রাম এর সাবেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দায়িত্ব পালন করছেন প্রত্যয় ৭১ কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম কলেজ প্রাক্তন ছাত্রলীগ পরিষদের সহ সভাপতি, আবদুল্লাহ আল হারুন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, চবি ১৯তম ব্যাচের যুগ্ম আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের আজীবন সদস্য হিসেবে।
দুই সন্তানের জননী শামীমা হারুন লুবনার স্বামী স্থপতি সোহেল মোহাম্মদ শাকুর। পারিবারিক উৎসাহে রাজনীতিতে তিনি নিজেকে সমর্পণ করেছেন। সদ্য সম্পন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের পক্ষে বিরামহীন প্রচারণা চালান লুবনা।
শামীমা হারুন লুবনা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে আমাদের পরিবার ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সততার সাথে দেশ পরিচালনায় যোগ্য রাজনীতিক প্রয়োজন। ছাত্রজীবন থেকে আমি রাজনীতির সাথে যুক্ত। অধিকারহারা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, স্বাধীনতার সপক্ষে প্রচারণা চালিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস চালিয়েছি। নারীদের সংগঠিত করতে কাজ করেছি মাঠে-ময়দানে। দলীয় সভানেত্রী আস্থা রাখলে, তার প্রতিদান আমি দেবো। আমি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি, ২০১৯
এসি/টিসি