জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেছে। শিগগির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
জেলায় মোট উপজেলা ১৫টি।
তবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আট উপজেলার মধ্যে এবার কর্ণফুলীতে নির্বাচন হচ্ছে না। বাকি সাত উপজেলার মধ্যে চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনোয়ারায় তৌহিদুল হক চৌধুরী ও বোয়ালখালীতে আতাউল হক আওয়ামী লীগের সমর্থনে জয়ী হয়েছিলেন। বাঁশখালী উপজেলা জামায়াতের আমির মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। চন্দনাইশ থেকে জয়ী এলডিপি’র আবদুল জব্বার চৌধুরী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী বিএনপি থেকে, সাতকানিয়া থেকে জামায়াত নেতা জসিম উদ্দিন এবং লোহাগাড়া থেকে জয়ী হন জামায়াতের অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খান।
উত্তর জেলার সাত উপজেলার মধ্যে মিরসরাইয়ে বিএনপি প্রার্থী নুরুল আমিন ও হাটহাজারীতে বিএনপি’র মাহবুবুল আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে সন্দ্বীপে মাস্টার মো. শাহজাহান, সীতাকুণ্ডে এস এম আল মামুন, রাউজানে একেএম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, ফটিকছড়িতে এম তৌহিদুল আলম ও রাঙ্গুনিয়ায় আলী শাহ জয়ী হন।
ইতোমধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় পুরনো বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে পুনরায় প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে সমর্থন দেয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে চেয়ারম্যান ও পুরুষ-মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে শতাধিক আবেদন জমা পড়েছে। শুধু দক্ষিণ জেলার আওতাধীন সাত উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চান ৮০ জনের বেশি।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম বাংলানিউজকে বলেন, গ্রহণযোগ্যরাই মনোনয়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। তৃণমূল থেকে পাওয়া তালিকাই কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দেয়া হবে। তৃণমূল থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে তা চূড়ান্ত করা হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
এসি/টিসি