‘এসো বন্ধনের মোহনায়, গণিতের মিলনমেলায়’ স্লোগানে তারা প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন প্রিয় ক্যাম্পাসে।
স্মৃতিকথন, আনন্দ আড্ডা, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও শিক্ষক সংবর্ধনা এবং র্যাফেল ড্র’র মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে গণিত বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী ও মিলনমেলা।
চবি ক্যাম্পাস ও নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে গণিতের সাবেক শিক্ষার্থীরা পেয়েছেন আনন্দযজ্ঞের বিশাল প্ল্যাটফর্ম।
শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় সাবেক শিক্ষার্থীদের ট্রেনযোগে প্রিয় ক্যাম্পাসে যাত্রার মধ্যদিয়ে।
সন্ধ্যা ৬টায় চবি গণিত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে উৎসবের সমাপনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।
সুবর্ণজয়ন্তী মিলনমেলার আহ্বায়ক রাশেদ রউফ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণিত বিভাগের সাবেক শিক্ষকদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সূচনা বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার দেব এবং আলোচক ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এস এম শাহনূর, মনিলাল দাশ, আনোয়ার হোসেন, হাসান মাহমুদ, সামশুল হক দুলাল, অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল আলিম, অধ্যাপক রণজিৎ কুমার দত্ত, অধ্যাপক মোহাম্মদ হাসানুল ইসলাম, অধ্যাপক নাসিমা আক্তার লাকী, মোহাম্মদ সাজ্জাদুল হক, মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ মাজহারুল হক।
স্মৃতিচারণ পর্বে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আমিরুল মোস্তফা। সূচনা বক্তব্য দেন মিলনমেলার যুগ্ম আহ্বায়ক পরিমল কান্তি ধর।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রফেসর ড. সুনীল ধর, অধ্যাপক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, অধ্যাপক সুপ্রতিম বড়ুয়া, ফজলুর রহমান, শ্রীবাস দাশ প্রমুখ। ধন্যবাদ বক্তব্য দেন সৈয়দ হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বাচিকশিল্পী আয়েশা হক শিমু, অধ্যাপক শিপন চন্দ্র দেবনাথ ও ঊর্মিলা চৌধুরী।
সংবর্ধিতরা হলেন-চবি গণিত বিভাগের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর ড. মাতউর রহমান, প্রফেসর ড. মুন্সী নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. মো. মহিউদ্দিন, প্রফেসর ড. মিলন কান্তি ধর, প্রফেসর ড. শাহাব উদ্দিন, প্রফেসর ড. কামরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো. জাহেদ, প্রফেসর ড. পরিতোষ রায়, প্রফেসর ড. মতিউর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষকরা অনেক বিখ্যাত। দেশ-বিদেশে তাদের অনেক সুনাম রয়েছে। বর্তমান যুগে গণিত ছাড়া, বিজ্ঞান ছাড়া কোন উন্নতি নাই।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সর্ববৃহৎ হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হবে। ইতোমধ্যে জায়গা পরিদর্শন করেছেন মন্ত্রী। এটি গড়ে তোলা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের পরিধি আরো বেড়ে যাবে এবং অনেক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন শিল্পী ইকবাল হায়দার, আলাউদ্দিন তাহের, নাদিরা পারভীনসহ বেতার, টেলিভিশনের বিভিন্ন শিল্পীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৮
এসি/টিসি