বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে ঘটফরহাদবেগ এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
অপহরণ হওয়া ওই ছাত্রের নাম সাইদুল ইসলাম শামীম (১১)।
সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে শামীমকে উদ্ধারের বিষয়টি জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, ‘পুলিশের তৎপরতায় অপহরণের মাত্র ৩ ঘণ্টার মাথায় শিশু শামীমকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ’
অপহরণের শিকার শামীমের বাবা শামসুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুসলিম হাই স্কুলের সামনে থেকে শামীমকে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে আমাকে ফোন দিয়ে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ’
তিনি বলেন, ‘আমি টাকা দিতে পারবো না জানিয়ে দিই তাদের এবং পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে শামীমকে ঘাটফরহাদবেগ এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ’
সাইদুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘স্কুল ছুটি হওয়ার পর দুইজন লোক এসে আমাকে বলে বাবা তাদেরকে পাঠিয়েছে আমাকে নেওয়ার জন্য। তখন আমি গাড়িতে উঠি। রাস্তায় জ্যাম আছে বলে তারা আামাকে নন্দনকানন বাসার দিকে না নিয়ে আন্দরকিল্লার দিকে নিয়ে গেলে আমি চিৎকার করি। তখন তারা আমার গলায় ছুরি ধরে এবং মুখ বেঁধে ফেলে। পরে আর কিছু দেখিনি। ’
সাইদুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘অনেকক্ষণ গাড়িতে থাকার পর তারা আমার বাবার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে। গাড়িতে আমাকে নিয়ে অনেকক্ষণ ঘুরে তারা। তাদের মোবাইলে অনেকগুলো কল আসে। পরে আমাকে গাড়ি থেকে কোথায় জানি তারা নামিয়ে দেয়। ’
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা, কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
এসকে/টিসি