ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চার বছর ধরে বন্ধ সিটি স্ক্যান সেবা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
চার বছর ধরে বন্ধ সিটি স্ক্যান সেবা চমেক হাসপাতালে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকা সিটি স্ক্যান মেশিন।

চট্টগ্রাম: চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিটি স্ক্যান সেবা। গত বছরের নভেম্বরে হাসপাতালে নতুন সিটি স্ক্যান মেশিন আনা হলেও এখনো সেবা চালু হয়নি।

ফলে অসহায়-গরিব রোগীদের বাইরে থেকে সিটি স্ক্যান করাতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বেশি টাকা ব্যয়ের পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গড়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন রোগীর সিটি স্ক্যান সেবা প্রয়োজন হয়। ২০১৪ সালের আগস্টে হাসপাতালের মেশিনটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কোনো রোগী সেবা পাচ্ছেন না।

পটিয়ার বাসিন্দা দিদারুল আলম (৪৫) সম্প্রতি স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোগ নিরূপণের জন্য চিকিৎসক তার সিটি স্ক্যান করাতে বলেন। হাসপাতালে সেবা বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে তার সিটি স্ক্যান করাতে হয়েছে।

চমেক হাসপাতালে নতুন আসা সিটি স্ক্যান মেশিন। বুধবার (২৩ জানুয়ারি) নিউরো মেডিসিন ওয়ার্ডে কথা হয় দিদারুল আলমের ছেলে সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অভাবের সংসার। কৃষিকাজ করে যা আয় তা দিয়ে সংসার চলে। টাকা না থাকায় দুদিন পর সিটি স্ক্যান করাতে হয়েছে।

হাসপাতালে সিটি স্ক্যানের জন্য দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু বেসরকারি রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে তিন থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। সচ্ছল রোগীদের ক্ষেত্রে এ ব্যয় বহন সম্ভব হলেও বিপাকে পড়েন অসচ্ছলরা।

অথচ বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসীর চিকিৎসার শেষ আশ্রয়স্থল এ হাসপাতাল। জটিল ও মুমূর্ষু রোগীরা এ হাসপাতালেই ছুটে আসেন। গড়ে জরুরি চিকিৎসার জন্য আসেন ৬শ থেকে ৯শ রোগী।

রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে একটি মেশিন দিয়ে সিটি স্ক্যান সেবা চালু হয়। চার বছর আগে গড়ে ১০ থেকে ১৫ জন রোগী সিটি স্ক্যান সেবা নিতো।

তবে আশার কথা হচ্ছে, ইতোমধ্যে একটি নতুন সিটি স্ক্যান মেশিন আনা হয়েছে। প্রায় সাত কোটি টাকা দামের জাপানি হিটাচি ব্র্যান্ডের এ মেশিনটি নভেম্বরের শেষ দিকে হাসপাতালে পৌঁছে।  স্থাপনের কাজ শেষ না হওয়ার ফলে সেবা চালু হচ্ছে না।

রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের প্রধান ডা. সুভাষ মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, নতুন মেশিন এসেছে। স্থাপনের কাজ চলছে। আশাকরি দ্রুত সেবা পাবেন রোগীরা।

‘নষ্ট মেশিনটি ২০০৬ সালে আনা হয়। ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় সেটি। এর আগে একাধিকবার মেশিনটি সমস্যা করেছিল। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তখন জানিয়েছি। কিন্তু নতুন মেশিন বরাদ্দ পেতে দেরি হওয়ায় রোগীদের বাইরে থেকে সিটি স্ক্যান করাতে হচ্ছে। ’

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নতুন মেশিন স্থাপনের কাজ শেষ। ৪ বছর পর সেবা চালু হতে যাচ্ছে। আশা করি রোগীদের কষ্ট লাঘব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
এসইউ/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।