দেখে মনে হতে পারে শিক্ষার্থীরাই বুঝি পরিচালনা করছেন পুরো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তারুণ্যমুখর বিশ্ববিদ্যালয় চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে) গেলে এখন চোখে পড়বে এমনই দৃশ্য।
এখানকার মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ালেখার পাশাপাশি নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন বিপুল উৎসাহ নিয়ে। ক্যাম্পাস জবের আওতায় প্রতিদিনই তারা কাজ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে।
এতে করে দিন দিন যেমন ছাত্র-ছাত্রীদের অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারী হচ্ছে, তেমনি ভবিষ্যতেও নিজেকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন প্রত্যেকে।
কেবল তাই নয়, মাস শেষে ছোটখাটো সেলামি কিংবা বেতন পেয়েও খুশি ছাত্র-ছাত্রীরা। আর মেয়াদ শেষ হলে অভিজ্ঞতা সনদ তো থাকছেই।
কর্তৃপক্ষ জানান, ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস জবের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। প্রতিদিনকার ব্যস্তময় ক্যাম্পাস জীবনের কিছুটা সময় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাটান তারা। ক্লাশ শেষে ব্যাগটা রেখেই ডুব দেন কাজে।
সরজমিনে দেখা যায়, তাদের কেউ ব্যস্ত থাকেন ফাইলিং করার কাজে, কেউ ডাটা আপডেট, অনেকে ভর্তি প্রক্রিয়ার আদ্যোপান্ত জানাচ্ছেন বাইরের অতিথিদের। এতো পরিপাটি করে সবাই মিলে কাজ করছেন দেখে বোঝার উপায় নেই তারা শিক্ষানবীশ।
বর্তমানে সিআইইউতে ছয় জন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস জবের আওতায় রয়েছেন। তারা হলেন: সৈয়দা নাজিফা আমিন, সৌরদীপ খাস্তগীর, মো. আফ্রিদি আরাফাত, মো. হাসান আলী জয়, জান্নাত উল নাওয়ার ও সাজ্জাদ হোসেন ইফতি।
সিআইইউর জামালখান রোডের মিনহাজ কমপ্লেক্সের ফটক দিয়ে ঢুকতেই নিচ তলায় জমজমাট অ্যাডমিশন অফিস। শিক্ষার্থী হাসান আলী জয় অনেকক্ষণ ধরে একজন অভিভাবকের সঙ্গে গুণগত শিক্ষা নিয়ে কথা বলছেন।
জয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিজ্ঞতা দারুণ। বড়দের সঙ্গে কাজ করে অনেক কিছু শেখার সুযোগ পাচ্ছি। যা পরবর্তী কর্মজীবনে ভীষণ কাজ দেবে।
জান্নাত উল নাওয়ার নামের অপর ছাত্রী বলেন, এখানে কাজ করার আনন্দটাই অন্যরকম। অফিসের আদব-কেতাব, ভদ্রতা, সময়জ্ঞান কতো কিছু জানতে পেরেছি!
সিআইইউর উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, এই ধরনের কাজের মাধ্যমে আজকের তরুণ শিক্ষার্থীরা আগামি দিনের বড় উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠবে। পড়ালেখার পাশাপাশি সৃষ্টিশীল মেধা বিকাশে নানা ধরনের কর্মকান্ড নিয়মিতভাবে ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়:১৭২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
জেইউ/টিসি