ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাতীয় ক্রীড়ায় মশাল হাতে বাংলানিউজের সোহেল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
জাতীয় ক্রীড়ায় মশাল হাতে বাংলানিউজের সোহেল জাতীয় স্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মশাল হাতে বাংলানিউজের সোহেল

চট্টগ্রাম: ৪৮তম শীতকালীন জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মশাল প্রজ্বলন করেছেন বাংলানিউজের সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট দৌড়বিদ সরওয়ারুল আলম সোহেল ও দৌড়বিদ রেশমী তঞ্চ্যঙ্গা।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে মশাল প্রজ্বলনের মাধ্যমে এ প্রতিযোগিতার শুরু হয়।

>> পরীক্ষার আগে অনৈতিক পথের খোঁজ করবেন না
>> জাতীয় স্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু মঙ্গলবার

জাতীয় স্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মশাল হাতে বাংলানিউজের সোহেল

সরওয়ারুল আলম সোহেল ২০০০ সালে যশোরে অনুষ্ঠিত জাতীয় স্কুল-মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে ব্যক্তিগত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব আর্জন করেন।

প্রতিযোগিতায় তিনি ৪০০ ও ৮০০ মিটার স্প্রিন্ট ও ১৫০০ মিটার এবং ২০০ মিটার রিলেতে প্রথম স্থান অধিকার করেন।

ছোটবেলা থেকে খেলাধুলায় পারদর্শী সোহেল থানা, জেলা, উপ-অঞ্চল ও অঞ্চল পর্যায়ের টানা তিন বছর শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন।

২০০০ সালে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ফিরে তাকাতে হয়নি সোহেলকে। এরপর প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) যোগ দেন। সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) দলে যোগ দেন। টানা ৫ বছর পেশাদার অ্যাথলেট হিসেবে স্বর্ণ-রৌপ্য পদক অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি জাতীয় পর্যায়েও অ্যাথলেটিকসে পদক অর্জন করেন।

২০০২ সালে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠিত জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় ৮০০ মিটার রৌপ্যপদক অর্জন করেন সোহেল।

সোহেলের সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে ২০০৪ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ইয়ুথ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাথেলেটিকেসে। লাল-সবুজের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি প্রতিযোগিতায় ৮০০ মিটারের স্বর্ণ ও ১৫০০ মিটারে ব্রোঞ্জ অর্জন করেন।

এদিকে ২০০৫ সালে ফটোগ্রাফিকে ভালোবেসে সাংবাদিকতা শুরু করেন সরওয়ারুল আলম সোহেল। ২০১২ সালে তিনি যোগ দেন দেশের সর্ববৃহৎ মাল্টিমিডিয়া অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজ২৪.কম-এ। তিনি ভারতের কলকাতার ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব ফটোগ্রাফি থেকে প্রশিক্ষণ নেন।

মশাল প্রজ্বলনের পর সরওয়ারুল আলম সোহেল বলেন, এ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া আমার স্বপ্ন ছিল। ২০০০ সালে আমার সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ১৮ বছর পর আবার সেই প্রতিযোগিতার মশাল প্রজ্বলন করলাম।

‘মশাল জ্বালানোর সম্মান দিয়ে ক্রীড়াবিদদের সম্মান দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ নতুন প্রজন্মকে খেলাধুলার প্রতি আরও মনোযোগী করবে। ’ যোগ করেন সোহেল।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এসইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।