ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আউটার রিং রোডের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
আউটার রিং রোডের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পের কাজ চলছে। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: পতেঙ্গা থেকে সাগরিকা পর্যন্ত সিটি আউটার রিং রোডের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের মাঝামাঝিতে এ রোডে যান চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

২০১৬ সালের জুলাইয়ে চার লেনের এ সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আড়াই হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

২০১৯ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা।

উপকূলীয় বাঁধ কাম আউটার রিং রোড নির্মাণ নামে এ প্রকল্পের আওতায় ১৭ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ হবে।

এর মধ্যে ১৫ দশমিক ২০ কিলোমিটার মূল ও ২ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক।

সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পের কাজ চলছে।  ছবি: উজ্জ্বল ধরসড়কটি দক্ষিণ কাট্টলী থেকে সংযোগ রোডের মাধ্যমে স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে সাগরিকায় পোর্ট কানেকটিং রোড ও পতেঙ্গা থেকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন টানেলের সঙ্গে যুক্ত হবে। এজন্য সাগরিকা অংশে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। পারাপারের জন্য থাকবে ১০টি ওভারব্রিজ।

সোমবার (২১ জানুয়ারি) সরেজমিন সাগরিকা থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, রাসমনি ঘাট থেকে আর্টিলারি সেন্টার পর্যন্ত রাস্তা তৈরির জন্য মাটি ভরাটের কাজ চলছে। ওই অংশে দুটি স্লুইস গেট নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে।

আর্টিলারি সেন্টার থেকে হালিশহর আনন্দবাজার পর্যন্ত রাস্তা তৈরির কাজ শেষ। ওই অংশে চলছে বিভাজক (ডিভাইডার) তৈরির কাজ।

আকমল আলি বেড়িবাঁধ থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত সড়কের সাব-বেইজ শেষ। কিছু অংশে বিটুমিন বসানো হয়েছে। ব্রিজ নির্মাণ ও সাগর ঘেষে সীমানা দেয়াল তৈরির কাজ এখনো চলছে। তবে জমি নিয়ে জটিতলায় কিছু অংশে (দুই লেনের) মাটি ভরাটও হয়নি।

এ ছাড়া পতেঙ্গা থেকে সড়কটির পাশ ঘেষে ৫০০ ফুট জুড়ে ওয়াকওয়ে তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। চলছে সিমেন্টের ব্লক বসানোর কাজ।

এদিকে সাগরিকা অংশে প্রস্তাবিত ফ্রাইওভারের নকশা নিয়ে জটিলতাও কেটে গেছে। সেখানে ফ্লাইওভারের গার্ডারের পাইলিং চলছে।

প্রকল্পের পরিচালক ও সিডির’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ। ২০১৯ সাল পর্যন্ত কাজের মেয়াদ থাকলেও চলতি বছরের মাঝামাঝিতে যান চলাচল করবে।

সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পের কাজ চলছে।  ছবি: উজ্জ্বল ধর‘বাঁধের ওপর সড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ হবে। এটি চালু হলে বন্দর, শিল্প কারখানা ও বিমানবন্দরগামী যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারবে। ফলে নগরের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর ওপর চাপ কমবে। উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে বন্যা ও সামুদ্রিক জলোচ্ছাস থেকে শহর, বিমানবন্দর, ইপিজেডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ রক্ষা হবে। ’

জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)২০০৫ সাল থেকে পতেঙ্গা হতে ফৌজদারহাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধ কাম আউটার রিং রোড নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করে। যাচাই শেষে জাইকা ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে। শুরুতে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৮৬৫ কোটি ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দুই বার সংশোধনের পর বর্তমানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪২৬ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ৭২০ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার ও জাইকার সহায়তা ৭০৬ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
এসইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।