ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হাসপাতালে অসহায়ের ‘সহায়’ যারা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
হাসপাতালে অসহায়ের ‘সহায়’ যারা অসহায় রোগীকে চিকিৎসা সহায়তা দেন রোগী কল্যাণ সমিতির নেতারা

চট্টগ্রাম: পটিয়ার বাংলাবাজারের বাসিন্দা পেয়ার বানু (৫৫)। শ্বাসকষ্টসহ শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন দীর্ঘদিন। প্রায়ই ভর্তি থাকেন হাসপাতালে।

অসহায় পেয়ার বানু ২০১৮ সাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি (আরকেএস) থেকে সহায়তা নিচ্ছেন।

রেলওয়ে কলোনীর বাসিন্দা হৃদরোগী ওসমান গনি দীর্ঘদিন আরকেএস থেকে ওষুধসহ যাবতীয় সহায়তা নেন।

এ রকম হাজারো গরিব ও অসহায় রোগী এবং তাদের স্বজনদের পাশে আছে রোগী কল্যাণ সমিতি।

২০১৭-১৮ (জুলাই-জুন) অর্থবছরে ২০ হাজার ১৮৭ জন গরীব-অসহায় রোগীকে ৬৮ লাখ ৮ হাজার ৫২০ টাকা সহায়তা দিয়েছে রোগী কল্যাণ সমিতি।

এর মধ্যে অজ্ঞাত ৪২, পরিত্যক্ত ১৪ জন শিশু সেবা পেয়েছে।

এ ছাড়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১১ হাজার ৩৫৩, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২২ হাজার ৮১৭, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৯ হাজার ৭৪৮, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২২ হাজার ২০৭ জন গরীব-অসহায় রোগী সেবা নিয়েছেন।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধিভুক্ত এ সংস্থা ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত ২ লাখ ৯৬ হাজার ৮ জন রোগী সেখান থেকে সহায়তা পেয়েছেন।

সংস্থার আয়ের মূল উৎস বিত্তবানদের সহায়তা। এ ছাড়া ১ হাজার ১১৫ জন আজীবন দাতা সদস্য নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দেন।

স্থায়ী ও অস্থায়ী দুটি ফান্ড রয়েছে। অস্থায়ী ফান্ড থেকে মূলত রোগীদের সহায়তা দেওয়া হয়। ওই ফান্ডে বিত্তবানরা যাকাত-ফিতরাসহ নানাভাবে সহায়তা করেন। অন্যদিকে স্থায়ী ফান্ড তৈরির প্রক্রিয়া চলমান।

মূলত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা চিকিৎসকের সুপারিশ নিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে সহায়তা পেয়ে থাকেন। যেসব ওষুধ হাসপাতাল থেকে রোগীকে দেওয়া হয় না, সেগুলো সরবরাহ করে সমিতি। এ ছাড়া রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচও বহন করে। পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া রোগীকেও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া হয়।

বর্তমানে এ সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন ২০১৬ সালের শ্রেষ্ঠ হাসপাতাল সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে পুরস্কার পাওয়া অভিজিৎ সাহা।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বিত্তবানদের অনুদান থেকে রোগীদের সহায়তা দেওয়া হয়। কিন্তু অনেক সময় ফান্ড সংকট থাকে, তখন সহায়তাও বন্ধ থাকে। এজন্য স্থায়ী ফান্ড তৈরির চেষ্টা চলছে।

অভিজিৎ সাহা বলেন, ‘১০ কোটি টাকার স্থায়ী ফান্ড করা হবে। ইতোমধ্যে ২ কোটির বেশি টাকা এসেছে। ১০ কোটি টাকা হলে ডিপোজিট করে লভ্যাংশ থেকে রোগীদের সহায়তা দেওয়া হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
এসইউ/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।