শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম একাডেমির মমতাজ সবুর সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. অনুপম সেন বলেন, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন একজন বড় মাপের সাহিত্যিক।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক আইন উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ, শিক্ষাবিদ ড. মাহবুবুল হক, চারুকলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রীতা দত্ত, সাহিত্যিক ড. আনোয়ারা আলম, মমতাজ সবুরের মেয়ে অধ্যক্ষ তহুরীন সবুর ডালিয়া, কবি বিশ্বজিৎ চৌধুরী।
সূচনা বক্তব্য দেন একাডেমি প্রতিষ্ঠাতা শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ। সঞ্চালক ছিলেন বাচিকশিল্পী আয়েশা হক শিমু। অনুভূতি ব্যক্ত করেন পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
তিনি বলেন, লেখকের কোনো জেন্ডার নেই। সৃজনশীল জায়গাকে যারা পরিচর্যা করেন তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। মমতাজ সবুর একজন সাহিত্যিক ছিলেন। তিনি মাতৃভাষার পক্ষে চেতনা ও মননশীলতা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
আইনবিদ হাসান আরিফ নতুন প্রজন্মেকে বইয়ের প্রতি আগ্রহী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কোনো ইনজেকশন, ট্যাবলেট দিয়ে বুদ্ধিবৃত্তি, মনমানসিকতা উন্নত করা যায় না। এ জন্য পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বেশি বেশি বই পাঠ করতে হবে। কেননা বইয়ের কোনো বিকল্প নেই।
ড. মাহবুবুল হক বলেন, সেলিনা হোসেন কেবল বড়দের নয় শিশুদের জন্য গল্প-উপন্যাস লিখেছেন। তিনি ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে সাহিত্য নির্মাণ করেছেন। তার উপন্যাসে চিত্রিত হয়েছে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, সংগ্রাম ও সমাজ চেতনা। তিনি কেবল নারী বা পুরুষ নন, মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
ড. আনোয়ারা আলম বলেন, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন আমাদের চেতনার বাতিঘর। তিনি উভয় বাংলায় শুধু নন, সারা বিশ্বের গর্ব। তিনি কলম দিয়েই মানুষের মনকে জয় করেছেন।
অনুষ্ঠানে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন আইনবিদ এএফ হাসান আরিফ। ক্রেস্ট, সনদ ও সম্মাননার অর্থ তুলে দেন ড. অনুপম সেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
এআর/টিসি