ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সম্প্রীতি মেলায় উন্নয়নের জয়গান রাউজানে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
সম্প্রীতি মেলায় উন্নয়নের জয়গান রাউজানে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী

চট্টগ্রাম: উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রাউজানে। এ উপলক্ষে পিংক সিটি-১ সংলগ্ন মিট পয়েন্ট রিসোর্টে আয়োজন করা হয় সম্প্রীতি মেলার।

রাজনীতিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার হাজারো মানুষের ব্যতিক্রমধর্মী এ আয়োজনে রাউজানের উন্নয়নযজ্ঞের কথাই উঠে এসেছে বার বার।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম শহরকে ক্লিন ও গ্রিন সিটি হিসেবে সাজানোর জন্য আমরা কাজ শুরু করেছি।

রাউজানে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। পিংক সিটি হয়েছে।
শান্তিশৃঙ্খলা, সড়ক, অবকাঠামোসহ ব্যাপক উন্নয়নকাজের মধ্য দিয়ে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী সত্যিকারের নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ, সংসদ সদস্য এইচএন আশিকুর রহমান বলেন, রাউজানে অনেকবার এসেছি। কিন্তু এবার রীতিমতো অভিভূত হয়েছি। জনমানুষের নেতা হিসেবে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।

সম্প্রীতি মেলায় উপস্থিতির একাংশ।  রেহানা আশিকুর রহমান বলেন, মামার বাড়ি রাউজানে। মামার বাড়িতে কত আনন্দ করতাম। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমাদের সন্তানরা সেই আনন্দ উপলব্ধি করতে পারবে না। একসময়ের অবহেলিত রাউজান এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় পাল্টে গেছে। রাউজানবাসীর স্বপ্নকে তিনি বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।

সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিতের জন্য সরকারের ধারাবাহিকতা দরকার। রাউজানের মানুষ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে বার বার নির্বাচিত করে সেটি প্রমাণ করেছেন।   

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, রাউজানের মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। বারে বারে তারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন। স্বপ্ন ছিল রাউজানের প্রতিটি এলাকায় উন্নয়নকাজ করবো। শুরু করেছি। অনেক কাজ এখনো বাকি। আমার ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। এ জনপদের, এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য কাজ করে যেতে চাই।

সংসদ সদস্যের ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, আমার বাবার চেয়ারে চারটি খুঁটি। একটি খুঁটি হচ্ছে রাউজানের মানুষ, যারা আমার বাবাকে ভালোবাসেন। দ্বিতীয় খুঁটি হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন। তৃতীয় খুঁটি বাবার কাজ। চতুর্থ খুঁটি গণমাধ্যম।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সুমন দে।  

দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল আলোচনা, গ্রামীণ খেলাধুলা, সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রীতিভোজ ইত্যাদি।   

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।