রুবি আকতার সাতকানিয়া উপজেলার আইয়ুব উদ্দিনের স্ত্রী। ২৩ ডিসেম্বর সিএসসিআরে তার ইআরসিপি করানো হয়।
আইয়ুব উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, পেট ব্যথার কারণে স্থানীয় কয়েকজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেও রোগ সারেনি। পরে ১৯ ডিসেম্বর সিএসসিআরে ডা. এমএ কাদেরের ব্যক্তিগত চেম্বারে রুবি আকতারকে নিয়ে যাই।
‘২০ ডিসেম্বর পরীক্ষার রিপোর্ট দেখালে ডা. এমএ কাদের বলেন, রুবি আকতারের কিডনিতে পাথর রয়েছে, তা অপসারণ করতে হবে। এন্ডোস্কোপিক রেট্রোগ্রেড কোলানজিও-প্যানক্রিয়াটোগ্রাফি (ইআরসিপি) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কিডনির পাথর সরানো হবে, খরচ ৩৫ হাজার টাকা। ’
আইয়ুব উদ্দিন বলেন, ২৩ ডিসেম্বর সিএসসিআরে ইআরসিপি করানো হয়। কিন্তু এরপরও কোনো পাথর বের করতে পারেননি চিকিৎসকরা। অথচ খরচ নেওয়া হয় ৩০ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, ব্যথা না কমলে দু’দিন পর ডেল্টা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা. জাকির হোসেনের তত্ত্বাবধানে লেপারোস্কোপির মাধ্যমে রুবি আকতারের কিডনির পাথর অপসারণ করা হয়। বর্তমানে রুবি পুরোপুরি সুস্থ।
পাথর না সরিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে-দাবি করে আইয়ুব উদ্দিন বলেন, স্ত্রীর জীবন বাঁচাতে ঋণ নিয়ে ওই চিকিৎসককে টাকা দিয়েছি। তিনি পাথর না সরিয়ে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন।
তবে প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডা. এমএ কাদের। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ইআরসিপিতে বড় পাথর বের করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে কিছু প্রক্রিয়া মেনে নির্দিষ্ট সময় শেষে রোগীকে আবারও ইআরসিপি করানো হয়।
ডা. এমএ কাদের বলেন, একবার ইআরসিপি করতে যা খরচ লাগে, সে টাকাই নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতারণার সুযোগ নেই।
অন্যদিকে রুবি আকতারকে লেপারোস্কোপি করানো ডা. জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ছিদ্র করে ওই রোগীর কিডনির পাথর অপসারণ করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘন্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
এসইউ/এসি/টিসি