উত্তর ফেদাইনগরের শিমচাষি আবদুল বারিক বাংলানিউজকে বলেন, বংশ পরম্পরায় কাত্তিকোটা, ছুরি, পুঁটি, বাটাসহ ছয় ধরনের শিমের চাষ হয়ে আসছে সীতাকুণ্ডে। মৌসুমের প্রথম থেকে শুরু করে মাঝামাঝি পর্যন্ত পরিপক্ব শিম পাইকারদের কাছে বিক্রি করা হয়।
চাষি বলরাম দাশ বলেন, এখন আমার প্রতিকেজি শিম ২৫-৩০ টাকা বিক্রি করছি। দ্রুত দাম আরও কমে যাবে। তারপরও শিমচাষ বোরো ধানের চেয়ে লাভজনক। সবচেয়ে বড় কথা সীতাকুণ্ডের মাটি শিমচাষের জন্য উপযোগী। সীতাকুণ্ডের শিম রফতানি হলে আমরা আরও বেশি লাভবান হবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাফকাত রিয়াদ বাংলানিউজকে জানান, দক্ষিণ সীতাকুণ্ডে ফসলী জমি কম, শিল্প-কারখানা বেশি। উত্তর সীতাকুণ্ডে চাষের জমি বেশি। শীতকালে এ উপজেলায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে শাকসবজির চাষ হয়। এর মধ্যে শিমচাষই হয় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে। বিশেষ করে বারৈয়ারঢালা, নুনাচরা, বটতল, শেখপাড়া, গুপ্তাখালি, বাঁশবাড়িয়া, মুরাদপুর, সৈয়দপুর, বাড়বকুণ্ড এলাকায় শিমচাষ বেশি হয়। বাকি জমিতে লাউ, বাধাকপি, ফুলকপি, মুলা, বেগুন, তিতকরলা ইত্যাদির চাষ হয়।
তিনি জানান, দেশের অন্যান্য স্থানে একই জমিতে তিনবার চাষ হয়-আউশ, আমন, বোরো। কিন্তু সীতাকুণ্ডে বোরো ধানের বদলে চাষিরা শিমের চাষ করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল হক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সীতাকুণ্ডে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে শিমচাষ হয়েছে। মিরসরাইতে হয়েছে ১ হাজার হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হেক্টর প্রতি যদি ২০ টন শিম হয় তবে ৮০ হাজার টন শিম উৎপাদন হবে এ মৌসুমে। প্রতি কেজি শিমের দাম গড়ে ২৫ টাকা ধরলে যার বাজারমূল্য দাঁড়ায় ২০০ কোটি টাকা। শিমের কাঁচা ও শুকনো বিচির দাম হিসাব করলে তা অনেক বেশি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৯
এআর/টিসি