ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২০০ কোটি টাকার শিম সীতাকুণ্ড-মিরসরাইতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯
২০০ কোটি টাকার শিম সীতাকুণ্ড-মিরসরাইতে সীতাকুণ্ডের উত্তর ফেদাইনগরে সীমের বাম্পার ফলন হয়েছে। ছবি: বাংলানিউজ

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) থেকে ফিরে: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বিস্তীর্ণ জমিতে শিম আর শিম। শুধু ফসলী জমি নয় পাশাপাশি জমির আল, মেঠোপথ, রেললাইনের দুই পাশ থেকে শুরু করে পতিত ভূমিতেও চোখে পড়ে শিম। বেড়িবাঁধ আর পাহাড়ি ঢাল কিছুই বাদ নেই। ফুলে ফলে ভরা একেকটি শিমের ঝোপ বলে দিচ্ছে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে।

উত্তর ফেদাইনগরের শিমচাষি আবদুল বারিক বাংলানিউজকে বলেন, বংশ পরম্পরায় কাত্তিকোটা, ছুরি, পুঁটি, বাটাসহ ছয় ধরনের শিমের চাষ হয়ে আসছে সীতাকুণ্ডে। মৌসুমের প্রথম থেকে শুরু করে মাঝামাঝি পর্যন্ত পরিপক্ব শিম পাইকারদের কাছে বিক্রি করা হয়।

এরপর দাম কমে গেলে কাঁচা শিমের বিচি খুলে নিয়ে বিক্রি করা হয়। যা চট্টগ্রাম অঞ্চলে ‘খাইস্যা’ নামে পরিচিত।
শুকনো শিমের বিচি সারা বছরই বিক্রি হয়।

চাষি বলরাম দাশ বলেন, এখন আমার প্রতিকেজি শিম ২৫-৩০ টাকা বিক্রি করছি। দ্রুত দাম আরও কমে যাবে। তারপরও শিমচাষ বোরো ধানের চেয়ে লাভজনক। সবচেয়ে বড় কথা সীতাকুণ্ডের মাটি শিমচাষের জন্য উপযোগী। সীতাকুণ্ডের শিম রফতানি হলে আমরা আরও বেশি লাভবান হবো।  

সীতাকুণ্ডে শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে।  ছবি: বাংলানিউজউপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাফকাত রিয়াদ বাংলানিউজকে জানান, দক্ষিণ সীতাকুণ্ডে ফসলী জমি কম, শিল্প-কারখানা বেশি। উত্তর সীতাকুণ্ডে চাষের জমি বেশি। শীতকালে এ উপজেলায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে শাকসবজির চাষ হয়। এর মধ্যে শিমচাষই হয় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে। বিশেষ করে বারৈয়ারঢালা, নুনাচরা, বটতল, শেখপাড়া, গুপ্তাখালি, বাঁশবাড়িয়া, মুরাদপুর, সৈয়দপুর, বাড়বকুণ্ড এলাকায় শিমচাষ বেশি হয়। বাকি জমিতে লাউ, বাধাকপি, ফুলকপি, মুলা, বেগুন, তিতকরলা ইত্যাদির চাষ হয়।

তিনি জানান, দেশের অন্যান্য স্থানে একই জমিতে তিনবার চাষ হয়-আউশ, আমন, বোরো। কিন্তু সীতাকুণ্ডে বোরো ধানের বদলে চাষিরা শিমের চাষ করেন।

সীতাকুণ্ডের উত্তর ফেদাইনগরে সীমের বাম্পার ফলন হয়েছে।  ছবি: বাংলানিউজকৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল হক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সীতাকুণ্ডে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে শিমচাষ হয়েছে। মিরসরাইতে হয়েছে ১ হাজার হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হেক্টর প্রতি যদি ২০ টন শিম হয় তবে ৮০ হাজার টন শিম উৎপাদন হবে এ মৌসুমে। প্রতি কেজি শিমের দাম গড়ে ২৫ টাকা ধরলে যার বাজারমূল্য দাঁড়ায় ২০০ কোটি টাকা। শিমের কাঁচা ও শুকনো বিচির দাম হিসাব করলে তা অনেক বেশি হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।