অভিযান চালিয়ে জরিমানা পর্যন্ত করে থেমে যাচ্ছে প্রশাসন। ফলে এ অপকর্মের মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এদিকে চট্টগ্রাম ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঝে মাঝে অভিযান চালালেও কয়েকমাস যাবত সেটিও বন্ধ রয়েছে।
এ সুযোগে নকল ওষুধের বাজার বিস্তৃত হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, নকল ওষুধগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়, আসল না নকল বুঝার সাধ্য থাকে না।
নগরের অক্সিজেন এলাকার বাসিন্দা ছকিনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগের বিভাগের একজন সহযোগী অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসা নেন।
চলতি মাসের শুরুতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকের কাছে গেলে তাকে নতুন একটি ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন। তার ছেলে সাইফুদ্দীন মেডিকেলের মেইন গেট এলাকা থেকে ওষুধটি কেনেন। কিন্তু সেবনের পর রোগ না সেরে উল্টো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, ওষুধটি ভেজাল ছিল।
সাইফুদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, সেবনের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করি। তিনি ওষুধটি নকল ছিল বলে জানান। পরে অন্য একটি ফার্মেসি থেকে ওষুধটি কিনি।
‘বাজার থেকে এ ধরনের ওষুধ জব্দ করা হোক। এ ছাড়া যারা এ অপকর্মের হোতা তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক’, দাবি জানান সাইফুদ্দীন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বশেষ গত ৪ ডিসেম্বর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, ‘ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এসব তদারকি করে। ’
‘ভেজাল ওষুধ বিক্রি জনস্বাস্থ্য বিরোধী কাজ। এসব ওষুধ সেবনে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। তাই এ কাজে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে। ’
চট্টগ্রাম ওষুধ প্রশাসনের ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মো. কামরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময়ে তদারকি বন্ধ ছিল। ’
‘জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। নির্বাচনের সময় তারা ব্যস্ত ছিল। এজন্য তদারকি বন্ধ ছিল। তবে তদারকি কার্যক্রম আবারও শুরু হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
এসইউ/টিসি