আরবান পাবলিক অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট হেলথ সেক্টর ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টের (ইউপিইএইচএসডিপি) আওতায় এ খাদ্য পরীক্ষাগার নির্মাণে অর্থায়ন করে এডিবি।
চসিক সূত্র জানায়, পরীক্ষাগারটিতে স্থাপন করা হয়েছে ৬টি আধুনিক ল্যাব।
তিন বছর পূর্বেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবিত জনবল চেয়ে আবেদন জানানো হয়। ২৩টি পদে ৩৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদের মধ্যে রয়েছে: পরিচালক, রসায়নবিদ, মাইক্রোবায়োলজিস্ট, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্যানিটেশন অফিসার।
২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরীক্ষাগারটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল খাদ্যের নমুনা পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে চসিক।
ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর ‘মান রক্ষা করা, প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ জনবল নিয়োগ এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করার’ শর্তে পরীক্ষার অনুমোদন দেয়।
জানা গেছে, এই পরীক্ষাগারে ফলমূল ছাড়াও দুধ ও দুধ জাতীয় পণ্য, মিষ্টি ও মিষ্টি জাতীয় পণ্য, জুস জাতীয় পণ্য, ড্রিংকিং ওয়াটার, সস জাতীয় পণ্য, মশলা পণ্য, বেকারী পণ্য, কার্বনেটেড বেভারেজ, স্ন্যাকস্ ফুড, আইসক্রিম, আটা, ময়দা, সুজি, ড্রাই স্যুপ, নুডলস, পাস্তা সহ বিভিন্ন খাদ্য পরীক্ষা করা যাচ্ছে।
চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী জানান, আমাদের পাঠানো জনবল কাঠামো ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন পেয়েছে। এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন মিললে তা পাঠানো হবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। এরপর অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত অনুমোদন মিলবে বলে আশা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
এসি/টিসি