১৮শ’ ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১১ সালে। বিশ্বব্যাংক, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসার যৌথ অর্থায়নে এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ১ হাজার ৪৯৪ কোটি ৯০ লাখ, বাংলাদেশ সরকার ৩৭০ কোটি ৩৭ লাখ ও চট্টগ্রাম ওয়াসা ২২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা দিয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাওয়ার পর বর্তমানে নগরে দৈনিক ৯ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
প্রকল্পের অধীনে হাটহাজারীর মদুনাঘাটে হালদা নদীর পানি পরিশোধনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে পানি শোধনাগার।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি কালুরঘাট বুস্টার স্টেশনে এনে সেখান থেকে মূল পাইপলাইনের মাধ্যমে মোহরা, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, কালামিয়া বাজার, রাহাত্তারপুল, কল্পলোক আবাসিক এলাকা, খাজা রোড, খাতুনগঞ্জ, ডিসি রোড, সিরাজ উদ দৌলা সড়ক এলাকা ও পতেঙ্গায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
মদুনাঘাট পানি সরবরাহ প্রকল্পের নাম বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে করার প্রস্তাব দিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিক পত্র দেয়া হয়েছে।
প্রকল্পের উপ-পরিচালক আরিফুল ইসলাম জানান, গত ১ নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে প্রকল্পটি চালু করা হয়। বর্তমানে বেশ কিছু এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রকল্পটি উদ্বোধনের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। চলতি মাসেই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৯
এসি/টিসি