ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কম্বলের উষ্ণতায় খুশির ঝিলিক চোখে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৯
কম্বলের উষ্ণতায় খুশির ঝিলিক চোখে শীতার্তকে কম্বল তুলে দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান।

চট্টগ্রাম: ৮০ বছরের বৃদ্ধ শামসুল হক লুঙ্গি মুরি দিয়ে শুয়েছিলেন চৈতন্য গলি কবরস্থান সংলগ্ন ফুটপাতে। কনকনে শীতে শীর্ণ শরীরটা থেমে থেমে কেঁপে উঠছিল। রাত ১১টায় তার গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেয় জেলা প্রশাসনের একটি টিম। উষ্ণতায় খুশির ঝিলিক দেখা গেলো তার চোখে-মুখে।

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সামনের ফুটপাতে ছেঁড়া কাঁথা জড়িয়ে শুয়েছিলেন বৃদ্ধ করিমুল। তার ওপরই আরেকটি কম্বল দিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হাবিবুর রহমান।

বললেন, ‘কম্বলটি আবার বেচে দিও না!’

খুশিতে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললেন বৃদ্ধ। বললেন, ‘বেচমু না স্যার।

আল্লাহ আপনারে অনেক দিন বাঁচায়ে রাখুক। ’

মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) দিনগত রাতের চিত্র এটি। মো. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. আশরাফুল আলম, মো. মাসুদ রানা, রেজওয়ানা আফরিন, মো. উমর ফারুক, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ নগরের বিভিন্ন ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা ছিন্নমূলদের হাতে ১০০ কম্বল তুলে দেন।  

কাজীর দেউড়ি, সিআরবি, চৈতন্যগলি কবরস্থানের সামনে, গরিবউল্লাহ শাহ্ মাজার এবং বদনা শাহ্ মাজারের সামনে প্রথম রাতে কম্বল বিতরণ করে রাত পৌনে ১২টায় সার্কিট হাউসে ফিরে আসেন তারা।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে মো. হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে যদি সবাই শীতার্তদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে ছিন্নমূল নারী, শিশু, বৃদ্ধরা শীতের কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।