ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বাংলাদেশ ছিল পৃথিবীর সবচে’ ধনী দেশ’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৯
‘বাংলাদেশ ছিল পৃথিবীর সবচে’ ধনী দেশ’ বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. অনুপম সেন

চট্টগ্রাম: প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেছেন, প্রাচীনকালে বাংলাদেশ ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ। তিনি বিশ্ববিখ্যাত পর্যটক বার্নিয়ারের কথা উল্লেখ করে বলেন, বার্নিয়ার শাহজাহানের রাজত্বকালে ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছিলেন। একটি চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন ‘‘প্রতি যুগে মিশরকেই বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী ও ফলশালী দেশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু মিশরের এই সম্মান বস্তুত বাংলারই প্রাপ্য।’’

সোমবার (৭ জানুয়ারি) নগরের জিইসি মোড়ের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে ইংরেজি বিভাগের ৩৪ তম ব্যাচের বরণ ও ২৭ তম ব্যাচের বিদায় উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, ১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজদ্দৌলার পতন ঘটিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই বাংলাদেশকে ইংল্যান্ডের কলোনিতে পরিণত করে।

তারপর মাত্র তিন বছরের মধ্যে এই দেশের তৎকালীন ৫০০ কোটি পাউন্ডের সম্পদ ইংল্যান্ডে পাচার করে। এরপর থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তারা ক্রমাগত বাংলাদেশকে শোষণ করেছে।

তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট বাংলাদেশের মানুষ ইংরেজদের শোষণ থেকে মুক্ত হলেও নতুন করে পশ্চিম পাকিস্তানিদের দ্বারা শোষিত হতে শুরু করে। প্রায় ২৩ বছর ধরে তাদের শোষণের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরপর ৩০ লাখ মানুষের প্রাণ ও ৩ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।

অনুপম সেন বলেন, বিশ্বের প্রথম সারির বৃহত্তম করপোরেশনগুলোর অধিকাংশের ভাষা ইংরেজি। তারা ইংরেজির মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করেন। সাহিত্যে ইংরেজি ভাষার বিশাল অবদান রয়েছে। শেক্সপিয়ার, শেলি, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, কীটস, বায়রন ও ইয়েটস্-এর মতো কবি রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন নিউটনের মতো অসাধারণ বৈজ্ঞানিক। যাকে বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। সুতরাং ইংরেজদের ঔপনিবেশিক শোষণে আমরা অত্যন্ত দীন হলেও, মননের জগতে তাদের দ্বারা আমরা সমৃদ্ধি পেয়েছি।

তিনি বলেন, ইংরেজি ভাষার শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ভাষায় যে-সম্পদ রয়েছে তার দ্বারা যখন নিজেদের জীবনকে আলোকিত করবে, তখন তারা যেন আমাদের দেশের দীন-দরিদ্র-বঞ্চিত মানুষগুলোকে না ভোলে। কারণ এই বঞ্চনায় ইংরেজদের একটা অবদান রয়েছে।

বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খানের সভাপতিত্বে এবং ২৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাকেরা আহমেদ ও মো. শাহেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম,  সহকারী প্রক্টর আবদুর রহিম, সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ জসিম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, সুমিত চৌধুরী ও প্রভাষক শান্তনু দাশ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।