ইতোমধ্যে ভোটকেন্দ্র, ভোটকক্ষ ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নামের তালিকাসহ একাধিক তথ্য চেয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৬ জানুয়ারি) জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।
কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটকেন্দ্র ও কক্ষের তালিকা চেয়েছে। সে অনুযায়ী ভোটকেন্দ্র ও কক্ষের তালিকা তৈরির জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিসের উচ্চমান সহকারী আবুল খায়ের বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্দেশনা না দিলেও ভোটগ্রহণের কাজগুলো ধীরে ধীরে সম্পন্ন করা হচ্ছে।
‘চট্টগ্রামে ১৪টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হবে। কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাচন শেষে এখনো ৫ বছর পূর্ণ না হওয়ায় সেখানে নির্বাচন হবে না’ বলেন আবুল খায়ের।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ছক তৈরির কাজ চলছে। এ ছাড়া ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের তালিকা তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। ’
‘কয়েক ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করবে ইসি। প্রথম ধাপের নির্বাচন মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর নির্বাচনও ধাপে ধাপে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে বিভিন্ন উপজেলায় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যেও ভোটের আমেজ দেখা দিয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর উপজেলা নির্বাচন নিয়েও বিএনপি একেবারে চুপ থাকলেও আওয়ামী লীগে বইছে নির্বাচনের হাওয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পছন্দের প্রার্থীর নামে শুভেচ্ছা ব্যানার ছাপিয়ে কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন অনেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও একই কায়দায় চলছে প্রচারণা।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে উপজেলা ১৫টি। এগুলো হচ্ছে-মিরসরাই, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনীয়া, বোয়ালখালী, পটিয়া, কর্ণফুলী, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৯
এসইউ/এসি/টিসি