রোববার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে নগরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন বাংলাদেশ জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক আমীর হোসেন।
স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রকে দেশের ধারাবাহিক উন্নয়নের বিরুদ্ধে কুঠারাঘাত উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা মিথ্যা তথ্য ও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সাংবাদিক ও জনসাধারণকে ধারাবাহিকভাবে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
‘খালের মোহনা দখলের যে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে তা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত সত্য হলো-বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের আওতায় চাক্তাই-রাজাখালী খালের মোহনার দুই পাড়ে সিসি ব্লক দিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেরাই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে। যে কারণে খালের মোহনা আরও প্রশস্ত হয়েছে। সুতরাং খাল দখলের প্রশ্নই আসে না। ’
তিনি বলেন, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও বাজারটি ঘিরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অর্ধলাখ মানুষের জীবিকা জড়িত। পাথরঘাটা ইকবাল রোড ফিশারিঘাটে স্থান সংকুলান না হওয়া, গভীর সমুদ্র থেকে মাছ আনতে খরচ বেড়ে যাওয়া, নোংরা পরিবেশ নিয়ে বিদেশি ক্রেতাদের আপত্তি, যানজট-জনদুর্ভোগ, বিভিন্ন ঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ১৫ বছরের চুক্তিতে নতুন অবতরণ কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়।
আমীর হোসেন বলেন, ১৯৬০ সালে ইস্ট পাকিস্তান প্রভিনশিয়াল ফিশারম্যানস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড নামকরণ করা হয়। সমিতির প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামে অবস্থিত। দেশের বিভিন্ন স্থানে ৯১টি কেন্দ্রীয় ও ৫৭০টি নিবন্ধিত প্রাথমিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে ২ কোটি মৎস্যজীবীর ভাগ্যোন্নয়ন করেছে সমিতি।
সমিতির মাধ্যমে বরফ কল, হিমাগার, জাল বুনন কারখানা, কারিগরী কারখানা, ফেরোসিমেন্ট নৌ নির্মাণ কারখানা, মৎস্য বিপণিকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ১৯৯৯-২০০০ সালে উপকূলীয় ১৪ জেলায় মাছ ধরার সরঞ্জামসহ ৬০০ যান্ত্রিক নৌকা দেওয়া হয় সমিতির সদস্যদের।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সোনালি যান্ত্রিক মৎস্য শিল্প সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি নূর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাবুল সওদাগর, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির কোষাধ্যক্ষ নিজামুল ইসলাম, নূর হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৮
এআর/এসি/টিসি