হাসপাতালের ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এসব ক্যামেরা বসানো হবে। এর আগে দুই ধাপে একশ এর অধিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল হক ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, ১০টি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। বাকীগুলো স্থাপনের কাজ চলছে।
‘হাসপাতাল এলাকায় প্রায় চুরি-মারামারির ঘটনা ঘটে। কিছুদিন আগে জরুরি বিভাগের সামনে পুলিশের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এছাড়া মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়। সিসি ক্যামেরা না থাকাতে এসব অপকর্মের সঙ্গে কারা জড়িত, শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি’ বলেন জহিরুল হক ভূঁইয়া।
পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেইন গেট, পূর্ব গেট, পশ্চিম গেট, লাশ ঘরের সামনে, স্টাফ কোয়াটার, মর্গসহ ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে।
চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে একশ এর অধিক সিসি ক্যামেরা রয়েছে। আরও ক্যামেরা স্থাপনের জন্য ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
‘সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে হাসপাতাল এলাকায় চুরিসহ বিভিন্ন ঘটনা কমে গেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কারণে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে যাবে পুরো এলাকা। ফলে রোগীসহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত সম্ভব হবে’ বলেন উপ-পরিচালক।
উল্লেখ্য, গত বছর জরুরি বিভাগের সামনে কথা কাটাকাটির জেরে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হাসপাতাল পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ী আহত হন। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দরকার হলে জরুরি বিভাগের ক্যামেরাগুলো নষ্ট পাওয়া যায়। তাই পুলিশকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৯
এসইউ/এসি/টিসি