এতে করে ওই খুঁটিতে থাকা সড়কবাতি জ্বলছে না। ফলে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) প্রায় সোয়া একশ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ দশমিক ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করে। ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর এ ফ্লাইওভারে যান চলাচল শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, আরাকান সড়কমুখী যুক্ত র্যাম্পটির মুখে স্থাপিত বৈদ্যুতিক খুঁটিটি নেই। এ ছাড়া সেখানে ডিভাইডারের ওপরে দেয়া অনেক রেলিংও চুরি হয়ে গেছে। এসব জিনিস রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা খুলে নিয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
স্থানীয় ও ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, রাতের আঁধারে নির্বিঘ্নে ছিনতাই করতে ছিনতাইকারীরা বৈদ্যুতিক খুঁটিটি খুলে নিয়ে গেছে।
এবিষয়ে জানতে সিডিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান বিন শামসেরের মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এছাড়া প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমানের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এদিকে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। যদি কেউ অভিযোগ করে, তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
উল্লেখ্য, সিডিএ’র তত্ত্বাবধানে ২০০৯ সালে এ ফ্লাইওভারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। ২০১০ সালের ৫ জানুয়ারি শুরু হয় এটির নির্মাণকাজ । ১ দশমিক ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ফ্লাইওভারের জন্য প্রায় একশ কোটি পঁচিশ লাখ টাকার বেশি ব্যয় হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৯
এসইউ/টিসি