সূত্র জানায়, কেন্দ্রওয়ারি ফলাফলের মধ্যে ৮৪টি কেন্দ্রের মধ্যে নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৩০ হাজার ৪৭১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জসিম সিকদার পেযেছেন ২ হাজার ২৪৪ ভোট।
জয়ের প্রতিক্রিয়ায় এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে আমি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেব। পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় অনেক রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলোর উন্নয়নে কাজ করতে হবে। সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাউজানের ১২৬ জন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের জন্য কার্যালয় করে দেব। তারা মানুষকে আরও বেশি সেবা দেবেন। আমরা সবাই মিলে দেশ গড়বো।
নারী ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভোটাররা ছুটে এসেছেন দায়িত্ব মনে করে। অনেক প্রবাসী চলে এসেছেন। আমি মনে করি, রাউজানবাসী স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বাস রাখবেন। নৌকায় ভোট দিয়ে কোনো মানুষের ক্ষতি হয়নি, অলাভ হয়নি। এ নৌকার মাধ্যমে স্বাধীনতা, দেশ, অন্ন, মানচিত্র, ভাষা, অধিকার পেয়েছেন। সব কিছু নৌকা দিয়েছে। যে মা জন্ম দেয় সেই মা সন্তানের সঙ্গে বেইমানি করে না। যে গাছ লাগায় সে গাছ কাটবে না। যে মানুষকে ভালোবাসে, সে মানুষকে ক্ষতি করার চিন্তা করে না।
তিনি বলেন, আমি কাগজের পোস্টার বিশ্বাস করি না, আমি মানুষের মনের পোস্টার বিশ্বাস করি। নিখুঁতভাবে আমরা নির্বাচন করেছি। এটা সম্ভব হয়েছে সুশৃঙ্খল, শান্তিপ্রিয় রাউজানবাসীর কারণে।
এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, বাবার সঙ্গে আমি রাউজানে ভোটের চিত্র দেখেছি। একজন ভোটারকে দেখলাম অসুস্থ শরীর নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে এসেছেন ভোট দিতে। রাউজানের উন্নয়নে আমরা আপস করি না। আমরা একসঙ্গে হাসি, একসঙ্গে কাঁদি। আমি নতুন প্রজন্ম হিসেবে বিশ্বাস করি, যারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা দেশকে ভালোবাসেন বলেই প্রার্থী হয়েছেন। তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এমআর/এসকে/এআর/টিসি