বৃদ্ধের চোখে বিস্ময় দেখে এগিয়ে এলেন পুলিশের একজন সদস্য। নিজেই পৌঁছে দিলেন বুথের সামনে।
চট্টগ্রামের ভাষায় বাংলানিউজকে বললেন, ‘পাঁচ বছর বাঁচিলে আবার ভোট দিয়ুম।
চার ছেলে, চার মেয়ের বাবা আহমদ ছফা বলেন, রাস্তাঘাটসহ দেশের অনেক উন্নতি হয়েছে। এটা অকল্পনীয়।
একই আসনে পটিয়া পৌরসভার কাগজীপাড়ার ভোটার হাবিবুর রহমান (৮৫), হোসেন আহমদ (৮০), মফজল আহমদ (৮৫) নিজের ভোট নিজে দিতে পারায় খুশি হয়েছেন বলে জানালেন।
লড়িহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার মোস্তফা বেগম (৬৫)। সাড়ে নয়টায় ভোট দেন তিনি। প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিয়েছি। লাইন ছোট ছিল। বেলা বাড়লে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে ভেবে সকালেই চলে এসেছি।
রাউজান (চট্টগ্রাম-৬) নোয়াপাড়া কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন পশ্চিম নোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ঊষা রানী চক্রবর্তী (৬৬)। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ৩৯ বছর ভোট গ্রহণ করেছি। এবার ভোট দিতে এসে এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হলো। খুব খুশি লাগছে।
কর্ণফুলী উপজেলার (চট্টগ্রাম-১৩) এজে চৌধুরী বহুমুখী কৃষি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পুরুষ ভোটারের দুইটি লাইনে কয়েকশ’ করে ভোটার। কিন্তু সবার আগে দাঁড়িয়েছেন শাহ আলম (৬৩)।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সাড়ে সাতটায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে কেন্দ্রে এলাম। শারীরিক অবস্থা দুর্বল দেখে অন্যরা সবার আগে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এতে নিজে সম্মানিত বোধ করছি। প্রবীণরা এ সম্মানটুকুই চায়।
হাটহাজারীর (চট্টগ্রাম-৫) কুলগাঁও সিটি করপোরেশন কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সাতসকালে এসে ভোট দিয়েছি। এখন এসেছি উৎসব দেখতে। হাজারো মানুষের লাইন। তরুণ ভোটারদের উৎসাহ দেখে নিজেরও খুশি লাগছে।
চট্টগ্রাম-৮ আসনের পশ্চিম মোহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু তাহের মিয়া (৭২)। তিনি বলেন, সুশৃঙ্খল পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছি এটা অনেক বড় পাওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এআর/এসি/টিসি