ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অপেক্ষা ঐক্যের ফসল ঘরে তোলার

তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
অপেক্ষা ঐক্যের ফসল ঘরে তোলার হাতে হাত রেখে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তির মধ্যেই গড়ে উঠেছে ঐক্য। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে মান-অভিমান ভুলে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের জয়ী করতে।

নির্বাচনী কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-১০ (হালিশহর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. আফছারুল আমিন, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এমএ লতিফ, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দিদারুল আলমসহ চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে নৌকার প্রার্থীদের জয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে মোট ১০টি সংসদ নির্বাচন হয়েছে।

এর মধ্যে যতবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, একসঙ্গে কাজ করেছে ততবারই আওয়ামী লীগ জিতেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের মান-অভিমান ভুলে আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে এবারও যে ঐক্য গড়ে উঠেছে তার প্রভাব পড়বে ভোটেও।
তাই অপেক্ষা এখন ঐক্যের ফসল ঘরে তোলার।

দুই প্রার্থীর মাঝে আ জ ম নাছির উদ্দীন।  ছবি: বাংলানিউজ

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনের প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বাংলানিউজকে বলেন, রাত পোহালেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে আমরা কী এগিয়ে যাবো? না, পিছিয়ে যাবো? দেশ উন্নয়ন ও সুশাসনের দিকে যাবে? না, অপশাসন ও দুর্নীতিতে ফিরে যাবে?

তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশকে অসামান্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। তবে এখানেই আমরা শেষ করতে চাই না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে আরও উন্নত করতে চাই। এ জন্য এবারের ইশতেহারে তরুণদের কর্মসংস্থানের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গ্রামেই শহরের সব সুযোগ সৃষ্টি করে গ্রামকে শহরে পরিণত করার ঘোষণাসহ নানা পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে। আশা করি তরুণ সমাজসহ দেশের মানুষ এসব বিবেচনায় নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকেই ভোট দেবে। এবারের নির্বাচনে আমরাই জয়ী হবো।

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, নির্বাচনী কার্যক্রম শুরুর আগেই আমরা ঘোষণা দিয়েছি নগর ও নগর সংশ্লিষ্ট ৬টি আসনসহ চট্টগ্রামের ১৬টি আসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেবো। এসব আসনে নৌকার প্রার্থীকেই জয়ী করবো।

তিনি বলেন, এ লক্ষে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা প্রচারণা চালিয়েছি। মানুষের কাছে গিয়েছি। নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছি। ইস্পাত কঠিন ঐক্য ধরে রেখে আমরা সফল হবো।

মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন অনুসারী হিসেবে- জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে দিনরাত দলের জন্য পরিশ্রম করেছি। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয়ী করতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সবাইকে নিয়ে কাজ করছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, চট্টগ্রামের সম্মানিত ভোটাররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন এবং শান্তির পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করবেন। ১৬টি আসনেই নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করবেন।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিগত ১০ বছরে চট্টগ্রামজুড়ে যতসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে তার সব কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার। বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প শেষ করার জন্য এবং চট্টগ্রামের উন্নয়নে আরও নতুন নতুন প্রকল্প নেওয়ার জন্য আবারও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ সরকারকে প্রয়োজন। তাই ভোটটা এবারও নৌকায় দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮
টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।