রোববার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তিনি।
এনাম অভিযোগ করেন, তার নির্বাচনী এলাকায় এ পর্যন্ত ৬০ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ বিনা কারণে গ্রেফতার করেছে।
তিনি বলেন, পটিয়া থানা পুলিশের কাছে এসব অভিযোগ দিলেও তারা কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই ওসি নেয়ামত উল্লাহকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
ওসি নেয়ামত উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আমার থানায় সিসিটিভি আছে। এনাম সাহেব বা তার কোনো নেতাকর্মী অভিযোগ নিয়ে আসেননি। তিনি যেসব অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট। তার নির্বাচনী অফিসে কিংবা গণসংযোগে কেউ হামলা করেছে বলে আমাদের জানা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে এনাম বলেন, আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে পুলিশ প্রশাসন ও সরকারদলীয় সমর্থকরা একজোট হয়েছে। এলাকায় গণসংযোগ যাতে করতে না পারি, সেজন্য রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে।
১৫ ডিসেম্বর ইউনিয়ন মেম্বার এম এ হাকিম চৌধুরীসহ ১৭ জন, ১৭ ডিসেম্বর আব্দুল আজিজসহ ২ জন, ১৮ ডিসেম্বর ইয়াছির আরাফাতসহ ৪জন, ১৯ ডিসেম্বর জিয়াউল জক জিয়াসহ ১০জন, ২০ ডিসেম্বর আহসান হাবিবসহ ৪ জন ও ২১ ডিসেম্বর রিপন জাহাঙ্গীরসহ ১৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, শুধু পুলিশ নয়, সরকারদলীয় সমর্থকরা শান্তির হাট, কমল মুন্সির হাট, বুধপুরা, কোলাগাঁও, বাদামতলী, কুসুমপুরা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ভাঙচুর চালায়। এসব বিষয়ে ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮
জেইউ/এসি/টিসি