সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জেলার ১০টি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নুরে আলম মিনা বলেন, ভিওআইপির মাধ্যমে মানুষকে কল দিয়ে ভীতি ছড়ানো হচ্ছে। আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
‘সরকারি কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি এলাকায় দায়িত্ব পালন করতে আসেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আপনারা নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ভালো রাখুন। আপনাদের সম্পর্ক ঠিক থাকলে কোনো সমস্যা হবে না।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, বেশিরভাগ এলাকার পরিস্থিতি ভালো। তবে কিছু এলাকায় বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। আর সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ দিলে দ্রুত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন সংসদীয় এলাকার প্রার্থীরা অভিযোগ তুলে ধরেছেন। ছোট দলগুলোর প্রার্থীরা নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা একাধিক অভিযোগ জানিয়েছেন।
এর মধ্যে সন্দ্বীপ আসনের বিএনপির প্রার্থী মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, প্রচারণার মাইক ভেঙে ফেলা হয়েছে। নেতা-কর্মীদের ভয় দেখিয়ে মাঠে নামার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
রাউজানে বিএনপির প্রার্থী জসিম উদ্দিন সিকদার বলেন, নির্বাচনী পরিস্থিত সন্তোষজনক। তবে ভোটারের মধ্যে একধরনের ভয় কাজ করছে। এটি বিরোধী পক্ষ সৃষ্টি করছে যাতে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে না যান।
পরোয়ানা ছাড়া নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রাঙ্গুনিয়া আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী নুরুল আলম। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ফটিকছড়ি আসনে মহাজোটের প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বিদ্রোহী প্রার্থীরা যাতে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা করতে না পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতি আহ্বান জানান।
পটিয়া আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী বলেন, রাতদিন প্রচারণা চলছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা নেই। পটিয়ায় লেবিং প্লেয়িং ফিল্ড আছে। বিরোধী প্রার্থীদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।
সব দলের প্রার্থীদের একসঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন সুষ্ঠু করা সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আনোয়ারার বিএনপির প্রার্থী সরওয়ার জামাল নিজাম বলেন, প্রচারণা চালিয়ে ফেরার পথে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়। প্রশাসনকে জানালে তারা উল্টো বিএনপির ৩৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে।
বাঁশখালী আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ ভালো। সব দলের প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাচ্ছেন। আশাকরি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
বাঁশখালী আসনের বিএনপির প্রার্থী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনকে অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিরোধী পক্ষ চাইছে আমরা যাতে নির্বাচন থেকে সরে যাই। কিন্তু নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
একই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাতের অন্ধকারে পোস্টার নামিয়ে ফেলা হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের হুমকি দিয়ে পরিস্থিতি খারাপ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
এসইউ/টিসি